ঘোড়াঘাটে পাটের দাম পেয়ে খুশি কৃষক

ঘোড়াঘাটে পাট জাগ দেয়া, পাটের আঁশ ছাড়ানো ও ধোঁয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা
বিজ্ঞাপন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পাট জাগ দেয়া, পাটের আঁশ ছাড়ানো ও ধোঁয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। অনেকেই পাট শুকিয়ে বাজারে বিক্রিও করছেন। কৃষি প্রধান এদেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকারী ফসল পাট চাষে কৃষক দুরাবস্থার সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় হেক্টর প্রতি পাটের ফলন বৃদ্ধিসহ পাটের দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি বছর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১১৩ হেক্টর জমিতে দেশী তোষা জাতের পাটের চাষ করেছে কৃষকেরা। হেক্টর প্রতি পাটের গড় ফলন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩.১০ বেল। এ পরিমাণ জমিতে পাটের উৎপাদন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৮০ বেল। যা গত বছর হেক্টর প্রতি পাটের গড় ফলন ছিল ১০.৯ বেল।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের কুলানন্দপুর গ্রামের পাট চাষি রায়হান জানান, গত বছর প্রতি মন পাট বিক্রি করেছি ২ হাজার ৫শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ৩২শ টাকা মণ ও নিম্ন মানের পাটের মূল্য ২৯শ টাকা দরে বিক্রিয় হচ্ছে। ফলে পাটের ন্যায্য মূল্য পেয়ে চাষীদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দামও অনেক বেশি। পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে। এতে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। আশা করছি আগামী বছরে পাট চাষ বৃদ্ধিসহ ফলন আরো বাড়বে। পাট সংরক্ষণ ও বাজারজাত করণে কৃষককে সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
এসডি/