প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, "আমরা মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিয়ে থাকি। এই পরীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের করে থাকি আমরা।"

মন্ত্রী বলেন, "যে গাড়িতে করে কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্ন এসেছে, সে গাড়িগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করেছি। ডিরেক্টর জেনারেলের (ডিজি) অফিসে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে কিংবা রওয়ানা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয়, সে বক্স খুললেও বলা যায় এই বক্স এখন খোলা হচ্ছে বা বন্ধ করা হচ্ছে।"

মন্ত্রী আরও বলেন, "নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করেছি। এখানে পুলিশ, র‍্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপও মনিটরিং করছি। ইতোমধ্যে আমরা দুজনকে গ্রেফতারও করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি।"

তিনি আরও বলেন, "আমি দুই-একটা হলে গিয়েছি। পরীক্ষা সুন্দরভাবে হয়েছে। সারা দেশে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললাম, তারা জানিয়েছে প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে। আশা করি সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবেই পরীক্ষা শেষ হবে।"

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মেডিকেল শাখা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক সচিব মো. আলী নূর, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল নাজমুল হক।

এবারে মেডিকেলে আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০। পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৩৩ জনেরও বেশি পরীক্ষার্থী।

সারাদেশে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০টি। এছাড়াও বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল মিলিয়ে সর্বমোট আসন ১০ হাজার ৮২৯টি। পরীক্ষা হয়েছে ১০০ নম্বরের এমসিকিউতে।

এসএ/