ইতিহাসে বিস্ময়কর এক নাম স্টিফেন হকিং


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ইতিহাসে বিস্ময়কর এক নাম স্টিফেন হকিং

পৃথিবী নন্দিত পদার্থ বিজ্ঞানের উজ্জ্বল নক্ষত্র মহাকাশ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং দুই হাজার আঠার সালের চৌদ্দ মার্চ ছিয়াত্তর বছর বয়সে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ, বিজ্ঞানের একজন জনপ্রিয় দূত এবং তিনি সব সময় নিশ্চিত করতেন যেন তাঁর কাজ সাধারণ মানুষেরা সহজে বুঝতে পারেন। তাঁর লেখা বই এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম অনেকটা ধারণার বাইরে বেস্ট সেলার বা সবচেয়ে বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়।যদিও এটা পরিষ্কার না ঠিক কতজন পাঠক এই বইয়ের শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন।স্টিভেন হকিং দেখান যে কৃষ্ণগহ্বর কিভাবে শক্তিক্ষয় করতে করতে শূন্যে মিলিয়ে যায়, পরবর্তীতে যা হকিং বিকিরণ নামে পরিচিতি পায়। কঠিন গাণিতিক হিসেব এবং পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে তিনি বিশেষভাবে পরিচিতি পান।তবে তার থিওরি অফ এভরিথিং বা সবকিছুর তত্ত্ব মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে-যাতে তিনি ধারণা দেন যে মহাবিশ্ব কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই বিবর্তিত হয়। এই মহাবিশ্বের শুরু কীভাবে হলো-এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এসব নিয়ম, তিনি বলেন কবে এর শেষ হবে? কীভাবে শেষ হবে? এসবের উত্তর যদি আমরা জানতে পারি, তাহলে আমরা আসলেই সৃষ্টিকর্তার মন বুঝতে পারবো। 

উনিশ শো বিয়াল্লিশ সালের আট জানুয়ারী মহাবিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যুর ত্রিশ বর্ষ পূর্তির দিন জন্ম গ্রহণ করেন হকিং। হকিংয়ের মৃত্যুতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, মার্কিন জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীসহ পুরো বিশ্ব শোকাবিভূত হয়েছিলো। একত্রিশ মার্চ ক্যামব্রিজে রাজজ্যোতি বিজ্ঞানী মার্টিন রিজ এবং অস্কার বিজয়ী অভিনেতা এডিরেড মেনিসহ অনেকে হকিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুভেচ্ছা ভাষণ দিয়েছিলেন এ বছর পনের জুন ওয়েস্ট মিনিষ্টার অ্যাবেতে মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের পাশে সমাহিত করা হয় তাঁকে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেইয়াস কলেজে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় অধ্যাপনা করেছিলেন হকিং। হকিংয়ের বাবা ড.ফ্রাঙ্ক হকিং ছিলেন, জীববিজ্ঞানের গবেষক, আর মা ইসোবেল ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী। ফিলিপ্পা ও মেরী নামে হকিংয়ের দুই বোন ও এডওয়ার্ড নামে এক পালক পুত্র লুচি, রবার্ট এবং টিম নামে তাঁর তিন ছেলে রয়েছে। ছোট বেলা থেকে হকিংয়ের আগ্রহ ছিল বিজ্ঞান ও গণিত শাস্ত্রের প্রতি। ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে জ্যোতিবিদ্যা নিয়ে পড়া শুরু করেন। হাতে কলমে পরীক্ষার চেয়ে তাত্ত্বিক গবেষণা ছিল বেশি পছন্দের। ১৯৬৬ সালে ২৪ বছর বয়সে ক্যামব্রিজ থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। পড়াশোনাকালীন সময়ে ২১ বছর বয়সে দূরারোগ্য মটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হতে থাকে এবং এই ব্যাধি তাঁর কন্ঠস্বর পর্যন্ত কেড়ে নেয়।তিনি ভয়েজ সিনথেসাইজারের মাধ্যমে কথা বলতেন এবং নিজের ভাব প্রকাশ করতেন। রোগ ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে বেঁচে থাকার ১০ বছর সময় সীমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হার মানেননি। হুইল চেয়ারে বসে চিকিৎসকদের কথা ভুল প্রমাণ করে আরোও ৪৯ বছর বেঁচে ছিলেন। প্রান্তিক ব্যাধি ও শারীরিক পঙ্গুত্বকে পরাস্ত করে তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষণা চালিয়ে গেছেন তিনি।মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য বিগ ব্যাং থিওরীর প্রবক্তা হকিং বলতেন, বুদ্ধিমত্তা তাকেই বলে যখন আপনি পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। জীবন যেমন কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে। হকিং দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন বটে। কিন্তু কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে এবং তাঁর আবিষ্কারের ভেতর বিষ্ময় হয়ে থাকবেন চিরকাল। আজ চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে হকিংকে স্মরণ করবে বিশ্ববাসী। তিনি শুধু বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন না, এক সঙ্গে ছিলেন পৃথিবীর সুপরিচিত এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁর অচল দেহ, অসাধারণ মেধার কোন বাঁধার সৃষ্টি করেনি। 

হকিংয়ের ছাত্র অধ্যাপক পল শেরার্ড মনে করেন, হকিং প্রমাণ করেছেন, মানুষের চেষ্টার কোন সীমা পরিসীমা নেই। তাই তিনি বিজ্ঞানীদের সেরাদের সেরা। বলা হয়ে থাকে, বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের পরেই তাঁর স্থান। ১৮৭৯ সালে জার্মানীতে জন্ম নেয়া আইনস্টাইন বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সুত্র আবিস্কার করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। হকিং পৃথিবীতে মানব সভ্যতা আর মাত্র এক হাজার বছর টিকে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করে সমগ্র দুনিয়া জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইউনিয়নে ঘন্টাব্যাপী এক ভাষণে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হকিং, মহাকাশে মানুষের বিকল্প আবাসস্থল সন্ধানের কথা বলেছেন। তাঁর মতে,বিজ্ঞান যতই উন্নত হউক না কেন, এ পৃথিবীতে খুব বেশি দিন মানব জাতি বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। সর্বোচ্চ এক হাজার বছরের মধ্যেই পৃথিবী ছাড়তে হবে মানুষকে। বৈশ্বিক ঊষ্ণায়ন, পরামাণু যুদ্ধ বা জিনগত প্রকৌশলের মাধ্যমে সৃষ্ট ভাইরাস বা অন্য যে কোন ভয়ানক কোন বিপদে এখানে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। হাজার বছরের সময় সীমা বেঁধে দিলেও ঠিক করে পৃথিবীর বুকে এই বিপর্যয় কখন নেমে আসতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি এ মহা বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, এভাবে দিনক্ষণ বলা কঠিন। সময় যত এগিয়ে আসবে ততই স্পষ্ট হয়ে যাবে ছবিটা। তিনি মহাকাশে বিকল্প আবাসস্থলের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। ডায়নোসরদের মতো একটা বড় বিপর্যয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে হবে মানুষদের। তাঁর মতে, জলবায়ুর পরিবর্তন, পরমাণু অস্ত্র এবং রোবটের কারণে এমন ঘটনা ঘটবে। ২০১৪ সালে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে হকিং বলেছিলেন, কৃত্রিম মেধা যে দিন সর্ব শক্তিমান হয়ে উঠবে, সেদিন মানব জাতির ধ্বংস নিশ্চিত। তিনি সে কথাও স্বীকার করেছেন, কৃত্রিম মেধার শরণাপন্ন হওয়া ছাড়াও যে, আপাতত কোন গতি নেই। 

দুই হাজার নয় সাল থেকে পৃথিবীর বাইরে মানুষের ঠিকানা খুঁজে বেড়াচ্ছে-মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গল গ্রহে মানুষ বসবাসের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের বসবাসের জন্য সঠিক জায়গাও খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।বিশ্ব সৃষ্টির শুরু আর শেষ নিয়ে জটিল এক প্রশ্নের উত্তর নিরন্তন যখন খুঁজে ফিরছিলেন, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, ধর্মযাজক থেকে শুরু করে সচেতন নাগরিক, তখন মহাজাতিক সৃষ্টির গুপ্ত রহস্য উন্মোচনে মানব জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছেন বিখ্যাত এ বিজ্ঞানী। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহব্বর এবং মহা বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য বিগ ব্যাং থিউরির জনক হচ্ছেন, স্টিফেন হকিং। হকিং ও তাঁর সহযোগি বিজ্ঞানী পেনরোজের যৌথ তথ্য মতে মহাবিশ্বের স্থান ও কালের শুরু হয়েছে একটি কেন্দ্র-বিন্দু অর্থাৎ বিগ ব্যাং থেকে এবং শেষ হবে কৃষ্ণগহব্বরের মৃত্যু কূপে। ব্ল্যাকহোল হচ্ছে, এক অদৃশ্য কৃষ্ণকায় দানব যা গিলে খায় সব কিছু। ব্ল্যাকহোল পদার্থের ঘনত্ব হচ্ছে, অসীম, এর মধ্যাকর্ষণ শক্তির বলয় থেকে আলোও পালাতে পারেনা। তবে হকিংয়ের মতে, কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে ব্ল্যাকহোলে থেকে বেরিয়ে আসার পথ খোঁজে পাওয়া সম্ভব। হকিং আবিষ্কার করেন, “কৃষ্ণগহব্বর কালো হলে কি হবে-সেগুলো আবার এক ধরনের দ্যুতি ও বিকিরণ করে। আর একদিন কৃষ্ণহব্বর গুলো বাস্পীভুত হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। হকিং রেডিয়েশন নামে তাঁর বিকিরণ তত্ত্ব বর্তমান সময়ে শ্রেষ্ট বিজ্ঞানীর আসনে বসিয়ে দিয়েছে। হকিংয়ের নতুন গবেষণা এবং মতামত শোনার জন্য তাকিয়ে থাকতো সমগ্র বিশ্ব। বিবিসি চ্যানেলে প্রচারিত এক ডকুমেন্টারিতে মহাবিশ্বে যে, এলিয়েন আছে সেটা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এলিয়েনরা পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মন্তব্য করেন বিজ্ঞানী হকিং। ১৯৮৮ সালে মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য নিয়ে তাঁর লেখা বই, ‘অ্যাব্রিফ হিষ্টি অব টাইম’ সর্বকালের সব চেয়ে বেশি বিক্রি হওয়ার একটি। 

এবং চল্লিশ টি ভাষায় প্রকাশিত এক কোটি বই বিক্রি হয়ে ২৩৭ সপ্তাহে সানডে টাইমের বেস্ট সেলার তালিকার শীর্ষে থেকে গ্রীনিজ বুকে বইটি রেকর্ডের পাতায় উঠে আসে। পদার্থ বিজ্ঞানে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ১৯৭৪ সালে ৩২ বছর বয়সে বৃটিশ রয়াল সোসাইটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সালে ক্যামব্রিজে গণিতের লুকেসিয়ান প্রফেসরের পদ অর্জন করেন, যা এর আগে আইজ্যাক নিউটনের মত জগৎসেরা বিজ্ঞানী ধারণ করেছেন। বৃটিশ নাগরিক হয়েও দুই হাজার নয় সালে প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছ থেকে আমেরিকার সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক মেডাল অফ ফ্রিডম লাভ করেন। কখনো কখনো রাজনীতি নিয়েও সরব ছিলেন হকিং, মার্কিন নির্বাচনের পূর্বে ডোনাল্ড টাম্পের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সরব হয়েছিলেন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধেও। দুই হাজার সাত সালের উনিশ ডিসেম্বর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় কসমোলজি কেন্দ্রে হকিংয়ের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। শিল্পী প্রয়াত আয়ান ওয়াল্টার মূর্তিটি তৈরী করেন। দুই হাজার আট সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অবস্থিত আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অব মেথমেটিক্যাল সায়েন্সের সামনে একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়। মধ্য আমেরিকার দেশ এল-সালভাদর তাদের রাজধানী সান সালভাদরে বিজ্ঞান জাদুঘরটির নাম হকিংয়ের নামে রেখেছে।তিনি বিশ্বাস করতেন যে তার অসুস্থতা তার জন্য কিছু উপকারও এনে দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, অসুস্থ হবার আগে তিনি জীবন নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। অবশ্য তার শারীরিক অবস্থা অবধারিতভাবেই তাকে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। তিনি প্রায়সময়ই তার প্রথম প্রথম স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বলতেন, যিনি বিশ বছরেরও বেশি তার দেখাশোনা করেছেন। যদিও তিনি যখন তার একজন নার্সের জন্য প্রথম স্ত্রীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন তখন তার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরা বেশ অবাক হয়েছিলেন। 

দুই হাজার সাল নাগাদ আঘাতের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার কেমব্রিজের একটি হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেন। ঐসময় একটি অভিযোগ আসে যে তিনি কয়েক বছর যাবত নানাভাবে মৌখিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। তবে তিনি ছিলেন বেশ খেয়ালী। তার হুইলচেয়ারটিই তিনি প্রায়সময় বেপড়োয়াভাবে চালাতেন এবং হকিং বারবার বলেন যে, তার এসব আঘাত কোন নির্যাতনের কারণে হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশও আর আগায়নি। দুই হাজার সাত সালে তিনি প্রথম চলৎশক্তি হীন ব্যক্তি হিসেবে একটি বিশেষ বিমানে ওজনশূন্যতার অভিজ্ঞতা নেন। মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণে উৎসাহ দেয়ার জন্যই তিনি এটি করেছেন বলে জানান।আমার বিশ্বাস পারমাণবিক যুদ্ধ, জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস অথবা অন্য কোন কারণে পৃথিবীতে প্রাণের অবসান হতে পারে। মানুষ যদি মহাকাশে না যায় তাহলে আমার মনে হয় মানব জাতির কোন ভবিষ্যৎ নেই। যেকারণে আমি মানুষকে মহাকাশে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। দুই হাজার চৌদ্দ সালে স্টিফেন হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয় 'থিওরি অফ এভরিথিং' চলচ্চিত্র। জেন হকিংয়ের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্রটি।ডিসকভারি চ্যানেলের সাথে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, পৃথিবীর বাইরে কোন বুদ্ধিমান জীবনের উপস্থিতি আছে এমন ধারণা করাটা সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীরা প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজে পৃথিবীতে অভিযান চালাতে পারে। পৃথি