নড়াইলে ৩ বছরের শিশু নুসরাত হত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৪০ পিএম, ৬ই আগস্ট ২০২৫


নড়াইলে ৩ বছরের শিশু নুসরাত হত্যা মামলায় সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
ছবি: প্রতিনিধি।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ৩ বছরের শিশু নুসরাত জাহান রোজাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে সৎ মা জোবাইদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।


বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।


নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস.এম. আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত জোবাইদা বেগম লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের সজীব কাজীর স্ত্রী।


মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সজীব কাজীর প্রথম স্ত্রী রূপা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তাদের দুই সন্তান ৫ বছর বয়সী ইয়াসিন ও ৩ বছর বয়সী নুসরাত দাদার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। পরে সন্তানদের দেখভালের কথা চিন্তা করে সজীব কাজী পুনরায় জোবাইদা বেগমকে বিয়ে করেন।


২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বড় ভাইয়ের মারধরের পর কান্নাকাটি করছিল নুসরাত। কান্না থামাতে তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যান সৎ মা জোবাইদা। কান্না থামছিল না দেখে একপর্যায়ে শিশুটির মুখ চেপে ধরেন তিনি, এতে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় নুসরাতের।


ঘটনার পর মৃতদেহটি একটি কম্বলে মুড়িয়ে ঘরের বারান্দায় রেখে দেন জোবাইদা। শিশুটির দাদা খায়ের কাজী গোসল করানোর জন্য ডাকাডাকি করলে নুসরাতকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।


পরিবারের সদস্যরা দ্রুত পুলিশকে খবর দিলে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।


ঘটনার দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সজীব কাজী ও জোবাইদা বেগমকে আটক করে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় সজীবকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন নিহত শিশুর দাদা খায়ের কাজী বাদী হয়ে জোবাইদাকে একমাত্র আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করে আদালত।



এসডি/