‘হিটলার বেঁচে থাকলে হয়তো হাসিনার কাছে মিথ্যার পিএইচডি করতেন’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ পিএম, ৩রা আগস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া এক বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, “হিটলার যদি বেঁচে থাকতেন, তবে হয়তো শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যার পিএইচডি করতে আসতেন।”
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে গুম, খুন, চাঁদাবাজি ও অর্থপাচার হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধেই ছিল বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলন। যদি স্বৈরাচারদের কোনো সমিতি গঠন করা হয়, তাহলে শেখ হাসিনা তার সভাপতি হতে পারেন।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে গুম-খুনের একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল। আমরা চাই, এসব অপরাধের বিচার আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়েই হোক। আগামী প্রজন্মের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলছি, ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াচ্ছি। দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণে একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
এর আগে গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় প্রায় ১,৪০০ জন ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যার নির্দেশ, উসকানি ও প্ররোচনার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একই দিনে মামলায় অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি আদালতে এসব অভিযোগ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আদালতে বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলন চলাকালীন আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সত্য। আমি নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করছি এবং রাজসাক্ষী হয়ে আদালতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে চাই।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলা ও অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের আলোড়ন তুলতে পারে।
আরএক্স/