অস্বস্তি মাছ-মাংসের বাজারে, বিক্রেতাদের অজুহাত বন্যার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২০ অপরাহ্ন, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিত্যপণ্যের বাজারে যেন কোনো ভাবেই স্বস্তি ফিরছে। ঊর্ধ্বমুখী এই বাজারে আজ একটি পণ্যের দাম বাড়ছে তো আগামীকাল বাড়ছে আরেকটি পণ্যের দাম। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নমধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষকে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর খিলগাঁ-বাসাবো এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
আরও পড়ুন: ব্যাংক যে অবস্থায়ই থাক গ্রাহকের কোনো ক্ষতি হবে না: গভর্নর
বাজার দেখা যায়, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস ১০৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
অন্যদিকে মাছের বাজারে পাঙাশ, তেলাপিয়া ছাড়া আর কোনো মাছেই তেমন স্বস্তির খবর পাওয়া যায়নি। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৭০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ৩০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, সাগরের পোয়া ৪০০-৬৫০ টাকা ও বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়।
বাসাবো এলাকার গরুর মাংস বিক্রেতা জান্নাতুর রহমান বলেন, বাজারে গুরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। কলিজা বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা করে। এছাড়াও গরুর পায়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জোড়া। তবে কেউ কেউ ৭৫০ টাকায়ও বিক্রি করছে। বিষয়টা আসলে নির্ভর করে মাংসের মানের ওপর।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এলো ৫৮ কোটি ডলার
এদিকে মুরগির মাংস বিক্রেতা পাপ্পা মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনে তুলনায় আজ ব্রয়লার মুরগির দামটা একটু বেশি। গত সপ্তাহেও ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে ১৮০ টাকা। বাজারে মুরগির চাহিদা বেশি, কিন্তু সে অনুযায়ী সাপ্লাই নেই। শুনেছি বন্যার কারণে অনেক খামারির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে সেই চাপটা এসে পড়েছে বাজারে।
বাজার করতে আসা মহন লাল নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। ২টা টিউশনি করিয়ে আগে যা পেতাম, এখনো তাই পাই।
আরএক্স/