সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্থদের সাংবাদিক সম্মেলন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৫ অপরাহ্ন, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্থদের সাংবাদিক সম্মেলন
ছবি: প্রতিনিধি

সাবেক আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এবং তার ভাইদের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীরা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। 


মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার সময় উপজেলার মোগড়া ইউপির সদস্য মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক তার নিজ বাড়ি দুর্জয়নগরে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন।


আরও পড়ুন: আনসারের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত


লিখিত বক্তব্যে মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক বলেন,আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের ভাই ফোরকান খলিফা ছিল আখাউড়া বাসীর আতঙ্ক। আখাউড়াতে এমন কোন কাজ নাই যেখানে তার হস্তক্ষেপ বাকী ছিল না। চেকপোস্ট, রেলের ঠিকাদারে ভাগ বসানো সহ আখাউড়ার সকল ভেজাল জমি জমার উপর তার নজর ছিল। ব্যবসায়ী, ভূমি মালিক, বালু মহল যাবতীয় সকল ব্যবসা কেন্দ্র তার আশির্বাদ ছাড়া কেহ কোন কিছু করতে পারে নাই। 


আখাউড়া থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক আরও বলেন, ‘ইতিপূর্বে আমি দুই বার মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানেও আমি মেম্বার। গত ৫ বছর পূর্বে আমার বাড়ীর পার্শ্বে ৩০ কানি কৃষি জমিতে উক্ত ফুরকান খলিফা জোর পূর্বক তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আমাদের যৌথ পরিবারের ৩০ কানি জমিতে মজুদ করেন। আমরা তাকে বাঁধা দিলে সে কোন ধরণের কর্ণপাত করে নাই। দীর্ঘদিন বিভিন্ন প্রশাসনকে অবগত করে কোন ফল হয় নাই। অবশেষে ফোরকান খলিফা প্রস্তাব দেয় যে, এখানে যে বালু উত্তোলন করা হয়েছে তা বিক্রয়ের পর আমাকে এক চতুর্থাংশ টাকা পরিশোধ করবে। তবে শর্ত দেয়- আমি বিএনপি করতে পারব না এবং আইনমন্ত্রীর পক্ষে বক্তব্য রাখতে হবে। পাশাপাশি আমাকে মিডিয়ার সামনে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে। অন্যথায় টাকা তো দূরের কথা আমার বিরুদ্ধে বহু মামলা দেওয়া হবে। আমার ফসলি জমিতে তাদের মজুদ বালুর অধিকার পাওয়ার কথা চিন্তা করে আমি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের প্রস্তাবে রাজী হই। এরপরও দেখা গেল আমাকে সামাজিক ভাবে বিএনপি কর্মী থেকে আওয়ামী স্লোগান দিয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আমার জায়গায় জমা রাখা বালুর টাকা চুক্তি মোতাবেক পরিশোধ না করে নাম মাত্র টাকা দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ধরণের বহু প্রতারনার ইতিহাস ফোরকান খলিফার দ্বারা বহু সংঘটিত হয়েছে। যাহা আস্তে আস্তে জনগণ মুখ খুলবে। আমি তার দ্বারা আত্মসাৎকৃত অর্থ ফিরে পাওয়ার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেব।


আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


এদিকে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও তার ভাই ফোরকান খলিফা পালিয়ে আত্মগোপনে থাকায় তাদের কারও বক্তব্য নেওয়া যায়নি।


আরএক্স/