রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, পরিস্থিতি শান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৯ অপরাহ্ন, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
খাগড়াছড়িতে ‘পাহাড়ি ও বাঙালিদের’ সংঘাতের রেশ শুক্রবার পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙ্গামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ-সহিংসতা পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় এদিন দিনগত রাত থেকেই সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির অতিরিক্ত টহল দিতে দেখা গেছে। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের পরিস্থিতি একেবারেই শান্ত। সড়কে সেনা, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিত রয়েছে।
এদিকে, ৩ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। সকালে রাঙ্গামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি একেবারে নেই। তবে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে। সড়কের কোথাও অবরোধকারীদের দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: পার্বত্য অঞ্চল পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপের জন্য আজ শনিবার পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা সফরে গেছেন তিন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টারা হলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। তারা উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বার্তায় খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর।
বার্তায় বলা হয়, “১৮ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তী সময়ে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত ও ব্যথিত। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।”
জেবি/এসবি