সঠিক পথে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক: আইএমএফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৭ অপরাহ্ন, ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) শর্ত পূরণ করতে না পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে সঠিক পথে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে আইএমএফ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এ কথা বলেছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
মুখপাত্র জানান, নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) শর্ত অনুযায়ী ২৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ আছে ১৯.৪৭ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক পথে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব তলব করলো বিএফআইইউ
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যয় মেটাতে পারবে ৩ দশমিক ১ মাসের।
৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রগতি নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে হুসনে আরা আরও বলেন, “ম্যাক্রো স্ট্যাবিলিটি, এক্সচেঞ্জ রেট, ফরেন রিজার্ভ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশও তার অবস্থান তুলে ধরেছে।”
এর আগে মুদ্রানীতির আধুনিকায়ন, বর্তমান অবস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন পরিস্থিতি, এক্সচেঞ্জ রেটসহ তিন বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত ঋণ চাওয়ার বিষয়ে আইএমএফ স্টাফ ওপেনিং মিটিং করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফ।
আরও পড়ুন: ই-রিটার্ন সার্ভিস সেন্টার চালু
বাংলাদেশকে বাড়তি ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি মিশন এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছে। মিশনটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপার্জিওর।
জানা গেছে, আইএমএফের কর্মকর্তারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এই সময়ে সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। বাংলাদেশে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন ঋণ অনুমোদন নিয়েও আলোচনা হবে এসব বৈঠকে।
সূত্র বলছে, আইএমএফের সঙ্গে কর আদায় বৃদ্ধি, কম ঋণ গ্রহণ ও ভর্তুকি কমানো নিয়েই মূল আলোচনা হবে এবারের বৈঠকগুলোতে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির জন্য চাপও দিতে পারে সংস্থাটি।
জেবি/এসবি