বাকৃবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি, সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৩১ অপরাহ্ন, ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুণ-অর-রশিদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরাও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: 'পর্যটন শান্তির সোপান' স্লোগানে ইবিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “এমন ঘটনা শুধু আজকের না আগেও ঘটেছে তবে কোন বিচার হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমাদের এই কাহিনীগুলো শুনতে হচ্ছে এবং এখনো পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কোন যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠিত হয়নি যা আমাদের ১১ দফার দাবির মধ্যে একটি ছিল। এর আগেও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষক দ্বারা যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। আমরা চাই এগুলোর একটি সুষ্ঠু বিচার হোক। এজন্যই আমরা এখানে আজ সমবেত হয়েছি।’’
নেপালি শিক্ষার্থী বিক্রম ধোজু বলেন, "আমাদের বিদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের খারাপ আচরণের খবর শুনে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা চাই আইনের মাধ্যমে সকল অপরাধীর শাস্তি হোক। শ্লীলতাহানিকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক। এটি বর্তমানে কেবল বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাপার নয়, এটি এখন আমাদের সবার চিন্তার বিষয়। শুধু বিদেশিরাই নয়, বাঙালি শিক্ষার্থীরাও এই এনসিডি (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ) রোগে আক্রান্ত। একজন ভুক্তভোগীর জন্য আইনি প্রক্রিয়ার বিলম্ব হওয়া অন্যায়ের সমান।"
আরও পড়ুন: জাবিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ, থানা ঘেরাওয়ের হুমকি
ঘটনার প্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূইঁয়া জানান, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন তদন্ত কমিটির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ন্যায় বিচার করবো।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও লাঞ্ছনার অভিযোগ করেছে মালয়েশিয়ার নারী শিক্ষার্থী। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব আলমকে আহ্বায়ক এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এদিকে এই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুব আলম।
এমএল/