শিল্পকলা একাডেমির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আইন সংস্কারের উদ্যোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪


শিল্পকলা একাডেমির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আইন সংস্কারের উদ্যোগ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটা  বাস্তবায়নের জন্য আইন সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।


শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: ভারত-আমেরিকার পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ মদদে অস্থিতিশীল হয়েছে পাহাড়


এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের শিল্পকলা চর্চা ও গবেষণার একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা সংবিধিবদ্ধ আইন ও প্রবিধানমালা দ্বারা পরিচালিত হয়। নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদের তত্ত্বাবধানে একাডেমি আরও গতিশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।


এতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে মহাপরিচালক ঘোষণা দিয়েছেন বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে তার বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসরণ করে আর্থিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নিকট বিশেষ অডিট সম্পন্ন করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সার্বিক তথ্যাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।


এ ছাড়া প্রশাসনিক নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ইনভেন্টরির মাধ্যমে কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত যে অর্থ পাওয়া গেছে তা একাডেমির ফান্ডে জমা দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে কোনো অসংগতি আছে কি না তা অভ্যন্তরীণ রিভিউ কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। যেকোনো অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হলে আইন ও প্রবিধানমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা


বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ও প্রবিধানমালার দুর্বলতার কারণে প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই বিষয়টি অতীব জরুরি বিবেচনায় এরই মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রবিধানমালা সংশোধনে কমিটিও গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ সংস্কার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ পুনর্গঠন, একাডেমির কাজ ও ক্ষমতার গঠনমূলক সংশোধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পী ও শিল্পসমালোচকদের সঙ্গে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এরই মধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সকলের সহযোগিতায় জনবান্ধব, বহু দল ও মতের অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গবেষণা, চর্চা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে শেকড়ের সন্ধান করবে এবং বাংলাদেশের শিল্পকলার বৈচিত্র্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও বলা হয়েছে।


এমএল/