ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে ১৬ বছরের জালিমের পতন হয়েছে


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৯ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৪


ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে ১৬ বছরের জালিমের পতন হয়েছে
ছবি: প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কারা নির্যাতিত মজলুম সাংবাদিক এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৫ আগস্ট এক অভূতপূর্ব ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছে যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে বসা এক জালিম শাহির পতন হয়েছে। এই সরকার ছিল একটি ফ্যাসিস্ট সরকার, দেশবিরোধী সরকার ও ইসলামবিরোধী সরকার।


বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে অনুষ্ঠিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।


আরও পড়ুন: পাবি‌প্রবিতে শিক্ষক-ছাত্রীর অনৈতিক সর্ম্পক, বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তোলপাড়


ড. মাহমুদুর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত হয়েছে দিল্লি থেকে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কাপুরুষের ন্যায় পালিয়েও গেছেন সেই দিল্লিতেই। বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার খুবই স্লো এটা তাদের প্রবলেম। এখনো আমরা ভারতের কাছে জোরালো দাবি করতে পারি না যে হাসিনাকে ফেরত দিয়ে দাও বাংলাদেশে, কোন অধিকারে হাসিনা ভারতে বসে আছে। ভারত এখনো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় নাই। রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার পরেও কোন অধিকারের হাসিনা এখনো ভারতে থাকে। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে হাসিনা ভারতে বসে আছে এবং বাংলাদেশের যে শত শত মন্ত্রী এমপি ভারতে বসে আছে, এর বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনকে ডেকে বলতে হবে যে হাসিনা অপরাধী। আজকে আমার মামলার এক নম্বর আসামি হাসিনা। মামলা করার পর আমি দাবি জানাবো ভারত থেকে হাসিনাকে এরেস্ট করে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে।


তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দোসর থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় ছাত্রলীগকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। আমি এই সরকারকে ৭দফা দিয়েছি। তন্মধ্যে এটা অন্যতম। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই ৭দফার সময়সীমা আগামী রোববার শেষ হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্মকে বলে দিয়ে যাচ্ছি, এই দাবিগুলোর সমর্থনে আপনারা আন্দোলনে শুরু করবেন। যতদিন না ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে ততদিন আপনারা আপনাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। এটার মাধ্যমে আপনাদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। আপনাদের মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই ছাত্রলীগের দানব থেকে মুক্তি পেতে হবে। তারা কথায় কথায় আমাদের মৌলবাদ বলে, মুসলমানদের জঙ্গিবাদ বলে। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন থাকলে এই ছাত্রলীগই আছে। এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এদের থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনারা সোচ্চার হতে হবে এবং আমি নিজেও ঢাকায় মাঠে নামব।


আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছাত্রীর উপর হামলা, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি


এসময় মতবিনিময়সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদ দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ শতাধিকের অধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।


এমএল/