সরকারি রাস্তার ইট তুলে বিক্রি করলেন বিএনপি নেতা, অভিযোগ গ্রামবাসীর
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:২৬ অপরাহ্ন, ১৯শে অক্টোবর ২০২৪
স্থানীয় সরকার বিভাগের তৈরি করা একটি সড়ক থেকে এক বিএনপি নেতা ইট তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে ওই সড়কের ইট তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে হাতেনাতে একজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম মো. আসলাম শেখ। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সদস্য। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আসলাম শেখ।
ডাঙ্গী গ্রামের বাস্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গ্রামীণ রাস্তা টেকসইকরণে হেরিং বোন বন্ডকরণ (এইচবিবি) প্রকল্পের আওতায় দুর্গম পদ্মার চরের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনতে কয়েক বছর আগে নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী চরের গোরস্থান মসজিদ থেকে পালডাঙ্গী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়। বিএনপি নেতা আসলাম শেখ তার অনুসারী হান্নান মাতুব্বরকে দিয়ে গত কয়েকদিন সড়কটি খুঁড়ে ইট তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে ইট তুলে ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর নজরে আসে। এ অবস্থায় ট্রলার আটকে পুলিশে খবর দেন তারা। খবর পেয়ে বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। দুপুরে হাতেনাতে একজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ঘে নিহত ৫
তবে জেলা বিএনপির সদস্য মো. আসলাম শেখ গণমাধ্যমকে জানান, “ফরিদপুর নদীবন্দর এলাকার প্রভাবশালী মো. আলম শেখের মদদপুষ্ট হান্নান মাতুব্বর ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকায় স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফের কাছে বিক্রি করে দেন। শনিবার ইটগুলো সড়ক থেকে তুলে ট্রলারযোগে বন্দরে নিয়ে আসলে আমরা আটক করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে জানাই। ইট চুরির ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। একটি পক্ষ হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ ঘটনায় আমাকে পরিকল্পিতভাবে জড়াচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তির সমাবেশ ও পদযাত্রা
ইটের ক্রেতা মো. ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, “সরকারি রাস্তার ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকায় হান্নান মাতুব্বরের কাছ থেকে কিনেছি। ইটের কিছু টাকা পরিশোধ করলেও সব টাকা দিতে পারিনি।”
তবে হান্নান মাতুব্বর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্টো ইট চুরির সময় বাধা দিয়েছেন দাবি করে বলেন, “ওসব সরকারি ইট আমি বিক্রি করিনি। কারা বিক্রি করেছে, তা আপনারা খুঁজে বের করেন।”
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, “ইটগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে। ইট বিক্রেতাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেবি/এসবি