শেখ পরিবারের কারোরই রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই: তাজকন্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৬ অপরাহ্ন, ১লা নভেম্বর ২০২৪
শারমিন আহমদ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারও আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ নেতৃত্বে থাকা দলের নেতাদের বিচারের দাবিও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
শারমিন আহমদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কারও আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
আরও পড়ুন: অর্থনীতিসহ সবকিছুতেই তরুণরা নেতৃত্বে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে: নাহিদ
এ সময় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ নেতৃত্বে থাকা দলের নেতাদের বিচারের দাবি জানান শারমিন আহমদ।
তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে বলেন, ‘মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ আবার দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে, আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার মা (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর) দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পররবর্তীতে সে দলটি হাইজ্যাক হয়ে গেল এবং একটি পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে গেল। এবারের প্রেক্ষাপটটি কিন্তু আরও ভিন্ন। কারণ, গণঅভ্যুত্থানের সময় এবার এ দলটির হাতে এত এত তরুণের মৃত্যু, জনগণের মৃত্যু, মানুষের দেহে এখনও বুলেট।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন করতে হবে: ফরহাদ মজহার
কাজেই আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব?- এমন প্রশ্ন রেখে শারমিন আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো একটি মাফীয়া লীগ। এমন আওয়ামী লীগ আমরা কেন করব, যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনাবোধ টুকু নেই?’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে।
এ সময় জাতির পিতা প্রশ্নে শারমিন আহমদ বলেন, ‘জাতির পিতা বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। আর এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা জাতির সামনে খুলে দেওয়া হলে জনগণই সেটা বিবেচনা করবে, সে সময় কার কী ধরনের ভূমিকা ছিল। জনগণ যদি দেখে মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে জনগণই সেটা ঠিক করবে। আর জনগণ যদি মনে করে, তার সেই ধরনের কোনো ভূমিকা ছিল না, তাহলে সেটা হবে না।’
এমএল/