ঢামেক থেকে ভুয়া চিকিৎসক পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সোমবার (১১ নভেম্বর) নাক, কান ও গলা বিভাগে নূর আলম নামে এক রোগী ভর্তি হন। তার কাছে থেকে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (২৫) নামের এক ভুয়া চিকিৎসক সু-কৌশলে ২৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। আজ তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমান জানান, ১২টার দিকে আমাদের সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় এই নারীকে ডাক্তারের অ্যাপ্রোন পরে চলাফেরা করতে দেখে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে আনসার সদস্যরা ওই ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের ডেকে ওই নারীর ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন। পরে ঢাকা মেডিকেলের কোনো ডাক্তার তাকে না চিনলে তাকে প্রশাসনিক ভবনে পরিচালকের কক্ষে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলা অবরুদ্ধ, ভেতরে আটকা শত শত কর্মকর্তা
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচালক ও উপপরিচালকের পরামর্শে ওই ভুয়া নারী ডাক্তারকে ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুকের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ঢাকা মেডিকেলে কেন এসেছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা জানান, পূর্বপরিচিত এক রোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করাতে এসেছেন।
চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন কেন পরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা ভুল করেছি, ভবিষ্যতে আর এ কাজ কখনো করব না। আমার ভুল হয়েছে আমি জীবনে আর এ ধরনের অন্যায় করব না।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গত ১১ নভেম্বর নাক, কান, গলা, বিভাগে নূর আলম নামের এক রোগী ভর্তি হয়। তার কাছে থেকে এই ভুয়া চিকিৎসক কৌশলে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করি।
ফারুক আরও জানান, ওই ভুয়া নারী চিকিৎসক নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার ওয়াদিয়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে মুনিয়া রোজা নামের এক ভুয়া নারী চিকিৎসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এমএল/