কখন চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ?


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪


কখন চুপ থাকা বুদ্ধিমানের কাজ?
ফাইল ছবি

বর্তমান কথা বলতে পারাটাকেও বড় ধরনের দক্ষতা হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন, কথা বলার  পাশাপাশি চুপ থাকতে পাড়াটাও অনেক বড় একটা যোগ্যতা, তবে সেটি সব ক্ষেত্রে নয়, বরং কখন চুপ থাকতে হবে তা জানাটা বেশি জরুরি। কখনও কখনও চুপ থাকাটা, কথা বলার থেকেও বেশি উপকারী হতে পারে। কথা বলার কারণে যদি ঝগড়া অথবা সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে নীরবতাই তখন সবচেয়ে কার্যকরী। জেনে নেওয়া যাক আপনি কখন চুপ থাকবেন। 


আরও পড়ুন: শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলো


কেউ যখন নিজের কথা বলে

এটা বোঝা অতি গুরুত্বপূর্ণ যে কেউ সাধারণত পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা চাইতে নিজের কথা বলে না। এটা কেবল তাদের আবেগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায়। যখন কেউ আপনাকে উদ্দেশ করে তার মনের ভাব প্রকাশ করে বা তার মনের কথা গুলোবলে , তখন তার কথা বা মানের ভাব খুব মনোযোগ সহকারে শুনতে ভুলবেন না। কিছু সহায়ক এবং সহানুভূতিশীল কথা তাকে  আপনি বলেতে পারেন, তবে সে যদি আপনার কথা শুনতে ইচ্ছুক না মনে হয়, তাহলে তার কথার ভেতরে কথা বলবেন না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে তার কাথা  সঠিকভাবে মনোযোগ সহকারে শোনা গুরুত্বপূর্ণ।


অপমানের জবাবে

অপমানের প্রতিক্রিয়া হৃদয়ে ভিতর আগুন জ্বালায়, এতে আপনি সহজেই অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। অপমানের প্রতিক্রিয়া আপনাকে এমন ধারণা  দিতে পারে যে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এসব পরিস্থিতিতে যেখানে কেউ আপনাকে অপমান, উপহাস বা উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে আপনি সফল হতে দেবেন না। আর এধরণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত এবং নীরব থাকা অথবা  দূরত্ব বজায় রাখা।


গোপন রাখতে বললে

কেউ যখন গোপনীয় কিছু শেয়ার করার জন্য আপনাকে বিশ্বাস করে, তার বিশ্বাস কখনোই ভঙ্গ করেবন না। সেটি ব্যক্তিগত, পেশাদার  বা যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক না কেন। যদি আপনি গোপন রাখতে বা সে যে তথ্য শেয়ার করছেন তা জানতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে সেকথা তাকে জানান।



নিশ্চিত নন

ঘটনা না জেনে কথা বললে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আপনি ভুল বলতে পারেন, খারাপ পরামর্শ দিতে পারেন বা মানুষের বিশ্বাস হারাতে পারেন। চুপচাপ থাকা আপনাকে স্বীকার করতে সময় দেয় যে আপনি জানেন না এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে পারেন। এটি আপনাকে সৎ এবং সত্যবাদী হতে সাহায্য করবে।



আরও পড়ুন: পছন্দের পুরুষ কেন পাত্তা দেয় না?


তর্কের সময়

বড় ধরণের তর্কের সময় আমাদের কথাগুলো অপর ব্যক্তির ওপর কিধরণের প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে আমরা মটেও চিন্তা করি না। আবেগ, রাগ বা হতাশার মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে দিতে পারে, আমরা রাগের মাথায় এমন কিছু কথা বলে ফেলি যার কারণে পরে অনুশোচনা হতে পারে। এমন মুহুর্তে চুপ থাকা এবং তর্কে না জড়িয়ে পড়া গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর দেওয়ার আগে শান্ত হন এবং চিন্তা করার জন্য সময় নিন। এটি এমন কিছু বলা থেকে আপনাকে বিরত রাখবে, যা নিয়ে আপনি পরে অনুশোচনা করতে পারেন।


এসডি/