সাজেকে গুলাগুলি ফিরতে পারেনি পর্যটক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৩৯ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪


সাজেকে গুলাগুলি ফিরতে পারেনি পর্যটক
সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস (সন্তু) এর মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ রমেশ চাকমা নামে ইউপিডিএফের এক সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছে। 


আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ফের বাড়লো


মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর)  রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছেন। অপরদিকে গোলাগুলির কারণে মঙ্গলবার বিকেলে সাজেক থেকে পর্যটকবাহী গাড়ি খাগড়াছড়ি ফিরতে পারেনি বলে জানা যায়।


এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, ‘সাজেক ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার যে সকল পর্যটক সাজেক থেকে ফিরতে পারেননি তাদের ফেরার বিষয়ে বুধবার  পরিস্থিতি বিবেচনা করে  সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  এছাড়া পর্যটক ভ্রমণের ব্যাপারে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’


 জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিতে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমার (জেএসএস) ও প্রসীত খিস্যার (ইউপিডিএফ) 

এর মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও হতাহতের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি

 


লাইনম্যান ইয়াছিন আরাফত জানান, ‘মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৫-৩০টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। যাতে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক রয়েছে। সকালে সাজেক থেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি খাগড়াছড়ি এসেছে। দুই আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবার বিকালে কোনও পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।’


আরও পড়ুন: সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরছেন


সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘সাজেক ও মাচালংয়ের ৭নং ওয়ার্ডের শিপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। গোলাগুলির কারণে বিকেলে প্রায় ১০টি পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।’


এসডি/