ডিপিডিসির ঘুষ বাণিজ্য
দোকান খুলে বসেছেন প্রকৌশলী অমিত
বশির হোসেন খান
প্রকাশ: ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৪
অমিত অধিকারী। ডিপিডিসির এক ক্ষমতাধর প্রকৌশলী, হাত অনেক লম্বা। তিনি পারেন না, এমন কোনো কাজ নেই। তিনি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ডিপিডিসির চেয়ারম্যানের চেয়ে প্রভাবশালী এই নির্বাহী প্রকৌশলী। দুর্নীতি, অনিয়ম আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাসে আয় করেন অর্ধকেটি টাকা।
অন্যদিকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে নারায়গঞ্জে শামিম ওসমানকে লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে নিজেই মাঠে নেমেছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী। তাঁর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ডিপিডিসির গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ ঘুষ দিলে অতি সহজেই মিলছে সেবা, আর ঘুষ না দিলে নানা গ্রাহকে চরম ভোগান্তি পড়তে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিপিডিসি’র একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগে জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। প্রধান দায়িত্বে আছেন দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তি। মূলত এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অমিত অধিকারী ও মো.সারওয়ার-এ-আলম লাখ লাখ টাকা আয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই দুই প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশন পরিচালিত হয়ে আসছে।
এ চক্রের ২০ সদস্যদের মধ্যে কয়েকজনের নাম তুলে ধরা হলো আক্তার, জাহাঙ্গীর, মহিবুল্লাহ, মফিজ, স্বপন, জাহিঙ্গীর(১), জাহিঙ্গীর(২), মাসুম, ইসমাইল, মাহবুব, হালিম ও সেলিম। এই সদস্যরা প্রত্যোকেই বিভিন্ন মামলার আসামি। এই দুই প্রকৌশলী দালাল চক্র নিয়ে সম্প্রতি বিমানে করে কক্সবাজারে গিয়ে আলিশান হোটেলে ফুর্তি করেছেন বলে তথ্য রয়েছে। ঐ দুই প্রকৌশলীর ভ্রমন বিলাশ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেন এক দালাল সদস্য। তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত ও প্রকৌশলী সারওয়ার স্যার দুইজনই টাকা ছাড়া কিছু বুঝেন না। এই ভ্রমনে গিয়েছে তাও তাদের লাভের জন্য। কারণ আমাদের একটু বিনোদন দিয়ে মাসে আয় করবেন লাখ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, এতো দামি হোটেলে আমাদের রেখেছে আমার খুব আনন্দ পেয়েছি।
টুকু নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাসার মিটারে ওয়াট কম থাকায় বিদ্যুৎ অফিসে সমাধানের জন্য গেলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম অসদাচরণ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারীকে জানানোর পর তিনি বলেন, ট্রান্সফর্মারে শক্তি নেই, ওয়াট লোড বাড়াতে টাকা লাগবে। তাঁর পরামর্শে লোড বাড়াতে টাকা প্রদানের পর রশিদ চাইলে ওই প্রকৌশলী রশিদ দিতে অস্বীকৃতি জানান। ঐ অমিত অধিকারি বলেন, ঘুষের টাকায় আবার রশিদ কিসের? ঐ ব্যবসায়ী আরও বলেন, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কর্তৃক আমাকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে।
শহরের আরেক বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, জরুরি বিদ্যুৎ সেবার জন্য অফিসে কল দিলে অপর প্রান্ত থেকে বলতে শোনা যায় এখন গাড়ি নেই, গাড়ি কখন আসবে বলতে পারছিনা। কিন্তু দালালদের ফোন দিলে ৩০০-৪০০ টাকার বিনিময়ে সাথে সাথে বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান গাড়ি নিয়ে গ্রাহকের বাসায় হাজির হয়ে যায়। শহরের আরেক গ্রাহক আলদ্দিন হোসেন অভিযোগ করেন, প্রতি মাসে বিল ঠিক ভাবে আসে না। এ বিষয় নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয় নাই। তিনি সব সময় দুঃব্যবহার করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট এই দালাল চক্র নিয়ে বাংলাদেশ বিমানে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে আনন্দন ভ্রমনে গেছেন এই দুই প্রকৌশলী। সব খরচ দিয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম। এই ট্যুরে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকারও বেশি। প্রধান অতিথি ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী। দালাল সদস্যদের নিয়ে এতো আয়োজন দেখে হতবাগ সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী। তাঁরা অভিযোগ করেন, অমিত স্যার সারওয়ার-এ-আলম দিয়ে পুরো ডিভিশনে ঘুষের বাণিজ্য শুরু করেছেন। এতো দুর্নীতি করেও কোন কারিশমায় পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রশ্ন প্রকৌশলীদের মাঝে। সূত্রে জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম অবৈধভাবে টাকা আয়ের জন্য নানা অজুহাতে প্রতিনিয়ত সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানি করছেন। তার অত্যাচারে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ। অবৈধভাবে টাকা আয় যেন তাদের নেশা ও পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব করতে তারা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমাফিক যা খুশি তাই করছেন। বৈধ পন্থায় কেউ বিদ্যুতের সংযোগ নিতে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিলেও ট্রান্সফর্মারে লোড নাই কিংবা ট্রান্সফর্মার সংস্কার হবে তার আগে সংযোগ দেয়া যাবে না এমন সব কল্পনাপ্রসূত মনগড়া অজুহাত দিয়ে গ্রাহককে হয়রানি করে থাকেন। আবার অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে কিংবা ঘুষ দিলে মুহূর্তেই সংযোগ দেয়া হয়, তাতে যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ঘাটতিও থাকে।
এভাবে ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনে অনিয়ম-দুর্নীতির এক অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন প্রকৌশলী অমিত অধিকারী। এরইমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগপত্রটি অনুসন্ধান শুরু করবে বলে দুদকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেন। সূত্র বলছে, সিএসএস সুপারভাইজার সুমন চন্দ্রসহ ১০/১২জন মিটার রিডার ও বহিরাগত একটি দালাল সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম। সব সময় সিন্ডিকেটের সদস্যরা তার রুমে অবস্থান করেন। সম্প্রতি অনিয়মের কৌশল ও পরিকল্পনা করছিলেন বিদ্যুৎ কর্মকর্তা মো.সারওয়ার-এ-আলম। জানা গেছে, ডিপিডিসির নিয়ম অনুযায়ী এলটিআই রিডিং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলমের নেয়ার কথা। কিন্তু তিনি নিজে না গিয়ে বহিরাগত চিহ্নিত দালাল মো: আক্তারকে দিয়ে রিডিং ও বিল সরবারহ করে থাকেন। সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসির বোর্ডে চিহ্নিত দালাল হিসেবে আক্তারের ছবি টানানো রয়েছে। তবুও এই আক্তারকে দিয়ে সব কাজের তদারকি করাচ্ছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম। তিনি প্রতি সপ্তহে ফাইল বণিজ্যে করে আয় করেন লাখ লাখ টাকা। এদিকে প্রতি দুই কিলো লোডের জন্য গ্রাহককে গুনতে হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। যদি গ্রাহক সোলার লাগাতে অনিহা প্রকাশ করেন সেই সব গ্রাহকদের নানা অজুহাতে আরো গুনতে হয় ২ থেকে ৩ গুন টাকা। দালাল আক্তারের কাছ থেকে এলটি বিলের নামে আদায় করা হয় ৫ লাখ টাকা।
এ ছাড়াও উপ-সহকারী মো.সারওয়ার-এ-আলমের নেতেৃত্বে দালাল আক্তারকে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ৪০/৪৫টি ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার গ্যারেজ অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টায় পর্যন্ত চলে এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে কোটি টাকার বেশি। আর নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর পকেটে যাচ্ছে ২০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত ৭ আগস্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলমের নেতেৃত্বে ১৭ জনের একটি সিন্ডিকেট বাংলাদেশ বিমানে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার আনন্দ ভ্রমনে যান। যেখানে তারা সি-প্লেজ হোটেলে রাত-যাপন করেন। তিন দিন পর নির্বাহী প্রকৌশলী ১৬জনের বহন নিয়ে ফিরে এলেও ৫দিন পর ফিরেন মো.সারওয়ার-এ-আলম। এর আগেও মো.সারওয়ার-এ-আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও অদৃশ্য শক্তির বলে বদলির বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, প্রতি দুই মাস পর পর মিটার রিডার ও বহিরাহত চিহ্নিত দালাল চক্রের সদস্যদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম।
ভুক্তভুগি এক গ্রাহক বলেন, আমি ৬ তলা ভবন করেছি। ভবনে মোট ফ্ল্যাট সংখ্যা রয়েছে ১২টি। ১২টি মিটারের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে আবেদন করি। ডিপিডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.সারওয়ার-এ-আলম ভবন পরিদর্শন করে। পরে বড় কর্তাদের অজুহাতে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। পরে বাধ্য হয়ে চাহিদা মোতাবেক টাকা দিয়ে দিই। অথচ সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা ছিলো। এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক খোঁজ-খবর নিলে এবং গোপনে গ্রাহকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মের্সাস গ্রীন এমএফজি কো:(গ্রাহক নং ১৪৮৫১১৬৩), যার ১৮ কিলো লোড থেকে ৪০ কিলো লোড বৃদ্ধি করা হয়। সিঙ্গেল ফেজ মিটার পরিবর্তন করে থ্রী ফেজ মিটার দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার সোলার ব্যবহার না করেই এবং কাগজপত্র যাছাই-বাছাই ছাড়াই অবৈধ ভাবে এই সংযোগ অনুমোদন করেন নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সারওয়ার-এ-আলমসহ তিন কর্মকর্তার সাক্ষর রয়েছে অনুমোদ পত্রে। এই সংযোগ প্রদানে গ্রাহকের নিকট থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
ঘুষের নেশা সারওয়ার-এ-আলমের:
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের উপ-সহকারী মো.সারওয়ার-এ-আলম বনশ্রীতে কর্মরত অবস্থায় বহুতল ভবনে উচ্চচাপ সংযোগ গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নিম্নচাপ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে মাতুয়াইল ডিভিশনে বদলি করা হয়। সেখানে কিছু দিন যেতে না যেতেই টাকার খুজেঁ এই প্রকৌশলী।
ডিপিডিসির অনুমতি ছাড়াই জমা ভিত্তিক টাকার কাজ পাস কাটিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে উচ্চচাপ বিদ্যুৎ সংযোগ নির্মান করেন। এতে ডিপিডিসি বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ঘটনা গনমাধ্যমে প্রকাশ হলে কতৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। সত্যতা পেলেও ম্যানেজ হয়ে যায় তদন্ত কমিটি। এর পরেও এই দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীকে শেরে বাংলা নগর ডিভিশনে বদলি করা হয়। ৬/৭ মাসের মাথায় কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে আবারও প্রাইজ পোস্টিং নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে বদলি করা হয়। এর পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতি মাসে আয় করে লাখ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন, মিটার রিডারের মাধ্যমে প্রকৌশলীরা ঘুষ লেনদেন করে থাকেন। এসব দুর্নীতিবাজদের রয়েছে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। মের্সাস গ্রীন এমএফজি কো: এর কোনো প্রকার কাজগপত্র ছাড়াই সংযোগ পেয়েছেন। টাকা হলেই সব করা যায় এই ডিভিশনে।
তিনি আরও বলেন, ডিপিডিসির এক লাইনম্যানের সিদ্ধিরগঞ্জে কয়েকটি বহুতল বাড়ি রয়েছে। তাই এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানের দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত অধিকারীকে বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিপ করেননি।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ড. ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি বন্ধ না হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই দুর্নীতিবাজ যে হউক তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের(টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের বের করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আবদুল্লাহ নোমান বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা।
আরএক্স/