ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েনের সংবাদটি ভিত্তিহীন

খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ হিসেবেই বিবেচিত
বিজ্ঞাপন
ভারতের প্রথম সারির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। খবরটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফাইড সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। সেইসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এ খবরটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে এতে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট, ভিত্তিহীন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ তার রুটিন কার্যক্রম ছাড়া দেশের কোনো অংশে কোনো প্রকার ড্রোন মোতায়েন করেনি। খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ হিসেবেই বিবেচিত।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় জনপ্রিয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
বিজ্ঞাপন
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ‘বায়রাকতার টিবি ২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সেখানে আরও বলা হয়, মূলত এ ধরনের ড্রোনগুলো নজরদারি এবং নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার জন্য পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ অঞ্চল ঘিরে এই ড্রোন মোতায়েন আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত।
বিজ্ঞাপন
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (আইডিআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরুর দিকে তুরস্ক থেকে ১২টি বায়রাকতার টিবি ২ ড্রোনের অর্ধেক হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। বাংলাদেশের ডিফেন্স টেকনোলজি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








