ভারতের সঙ্গে এখন থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে: হাসনাত আব্দুল্লাহ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৯ অপরাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৪


ভারতের সঙ্গে এখন থেকে কথা হবে চোখে চোখ রেখে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আর কোনো নতজানু সম্পর্ক নয়, এখন থেকে চোখে চোখ রেখে কথা হবে।


মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণজমায়েতে এ মন্তব্য করেন তিনি। গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ গণজমায়েতের আয়োজন করে।


আরও পড়ুন: সাংবাদিক বশিরের ওপর হামলা: ডিআরইউ-র‌্যাকের নিন্দা


গণজমায়েতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভারত চেয়েছে সংখ্যালঘুদের উসকে দিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে। কিন্তু আমরা ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিইনি। তাদের সঙ্গে আর কোনো সমঝোতার রাজনীতি চলবে না। আর কোনো গুম নয়, আর কোনো খুনাখুনি নয়। হয় মাতৃভূমি, না হয় মৃত্যু।


তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) সুযোগ দিয়েছেন তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে যারা আমাদের পুলিশকে বিরোধীমত দমনে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে, তাদেরকেও জাতির সামনে আনতে হবে।


তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে গুম, খুন ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারা এই সুযোগ দিয়েছেন তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। যারা আমাদের পুলিশকে গুম-খুনের কাজে ব্যবহার করেছে এবং ফ্যাসিবাদীকে নিয়ে বিভিন্ন সিনেমা বানিয়েছে, তাদের পক্ষে লিখেছে, তাদেরকেও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।


আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হঠাৎ অসুস্থ যাত্রী, ঢাকায় জরুরি অবতরণ


হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালকে পুঁজি করে যাদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে, তাদের সবার সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে। বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। ক্ষমতায় যাবার আশায় যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলেছে, তাদের উদ্দেশ্য কখনও সফল হবে না। যারা বিচারের আগেই আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতির মাঠে আনতে চান, তাদের শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে যেতে হবে।


গণজমায়েতে ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, গুম কমিশনের প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল।


এমএল/