ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাজার আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৮ অপরাহ্ন, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৪


ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাজার আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম
ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া অনেক বড় অপরাধ। আদালতের কাছ থেকে যখন এ বিষয়টা নির্ণয় হবে তখন তাদের সনদ বাতিল এবং আইনের আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে এসব অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রত্যাহারের সুযোগ দিয়ে সাধারণ ক্ষমার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।  


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক ই আজম এমন কড়া হুঁশিয়ারি দেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের।


আরও পড়ুন: ১৫ ডিসেম্বর থেকে এমআরপি পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা এই জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এটা ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় ধরনের অপরাধ। আমরা একটা ইনডেমনিটিও (সাধারণ ক্ষমা) হয়তো দেব। যেসব অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে আসছেন, তারা যেন স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। যদি চলে যান তাহলে হয়তো তারা সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসতে পারেন। আর যদি সেটা না হয়, আমরা যেটা বলেছি যে- এই প্রতারণার দায়ে আমরা তাদেরকে অভিযুক্ত করব।


মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বহু অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে ৩ থেকে ৪টা তালিকা আছে। বিভিন্ন রকমের নীল তালিকা, লাল তালিকা, নানা রকমের তালিকা, ভারতীয় তালিকা। বিভিন্ন রকমের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা এখানে আছে। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে অনেকেই, অনেকে আবার গেজেটভুক্ত হয়েছে। তারা আবার নানা সুবিধাদি গ্রহণ করছে। আদালতের কাছ থেকে যখন এ বিষয়টা সম্পূর্ণ নির্ণয় হবে তখন তাদের তো বাতিল (সনদ) করবোই এবং সাজার ব্যবস্থাও করব, যেন এটার জন্য প্রয়োজনীয় শাস্তি ভোগ করে।


আরও পড়ুন: আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড


শাস্তির বিষয়ে কঠোরতা দেখিয়ে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, আমরা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করতে পারলে তাদের ব্যাপারে একই রকমের বিষয় হবে। এটার শাস্তি পাওয়া উচিত, তাদের সকলকেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। আমরা আশা করছি, এ বিষয়ে খুব দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থায় যেতে পারব।


যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তাদের মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ণ না হয়। সেটাকে অক্ষুণ্ন রেখেই বাকি কাজ সম্পন্ন করতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এটা একটা দুরূহ কাজ তার পরও উপদেষ্টারা সবধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে ফারুক ই আজম আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অনুরাগের বশে কিংবা কারো আত্মীয়তার বশে কিংবা অন্য কোনো এখানে বহু মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা করা হয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটু সময় তো আমাদের লাগবেই। তবে এ ক্ষেত্রেও সফলতা আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


এমএল/