পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্তসহ ৮ দাবি ভুক্তভোগী পরিবার-স্বজনদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ অপরাহ্ন, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া মামলার পুনঃতদন্ত ও জেলখানায় বন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার-স্বজনেরা। এ সময় তারা নিজেদের ৮ দফা দাবির কথাও তুলে ধরেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা-স্বজনরা এ দাবির কথা জানান।
এ সময় তারা বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। অনেক বন্দির সাজা সমাপ্তি হলেও তাদের বিনা বিচারে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যদি রাজনীতিবিদরাই সংস্কার করেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তারা কি করেছেন: পরিবেশ উপদেষ্টা
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আরও বলেন, বিডিআর জওয়ানদের চাকরিতে থাকাকালীন প্রচলিত আইনে গ্রেফতার করা বা মামলা দেওয়ার কোন আইন নাই। কারণ, বিডিআরের নিজস্ব একটা আইন আছে। এরপরও সেটাই করা হয়েছে।
এ সময় তারা ৮ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-
১. স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক সব মামলা ও রায় বাতিল করতে হবে।
২. ১৬ বছর যাবৎ কারাগারে থাকা নির্দোষ সব বিডিআর সদস্যদের কারামুক্তি।
৩. হাইকোর্টের রিট অনুযায়ী দ্রুত পুনঃতদন্ত শুরু করা।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা
৪. নিরীহ বিডিআরদের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তির আওয়াত আনতে হবে।
৫. সব বিডিআর সদস্যদের (আনুমানিক ১৮৫২০ জন) চাকরিতে পুনর্বহাল করা।
৬. সব সেনা শহীদ, বিডিআর শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত সব বিডিআর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ (বেতন, ভাতা, পেনশন) ও পুনর্বাসন করা।
৭. ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ রাইফেলস নাম পুনঃস্থাপন করা।
৮. ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করা।
এমএল/