এনআইডি সংশোধন দ্রুত সমাধান করা হবে: এনআইডি ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৩ অপরাহ্ন, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এএসএম হুমাযুন কবীর বলেছেন, এনআইডি সংশোধনের জন্য ৩ লাখ ৭৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ আবেদনগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) এনআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় এনআইডি ডিজি বলেন, ইসি থেকে আমরা ডাটা সেন্টার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকি। আমাদের কিছু নিয়মকানুন আছে। আমরা ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তির ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে থাকি। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সঙ্গেও আমাদের একটা চুক্তি সম্পাদন ছিল।
আরও পড়ুন: সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে: মো. তৌহিদ হোসেন
তিনি বলেন, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইসির চুক্তি ছিল। কিন্তু যখন বিসিসি পরিচয়ের সূত্রধরে তারা নিজেদের মতো করে একটি সেবা চালু করে, যেখানে ইসির কোনো রকম সমর্থন ছিল না ৷ তা সত্ত্বেও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল এমনও কিছু প্রতিষ্ঠান ওখানেও চুক্তি করে। এইটা আমাদের কাছে এখনও বোধগম্য নয়। যেখানে আমাদের সঙ্গে চুক্তি করলে স্বল্প পয়সায় সেবা পাওয়া যায়, সেখানেও বেশি পয়সা ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি ৷ তারপরও তারা ওখানে কেন করেছে সেটাও কিন্তু একটা বিশাল বিষয়। আমার ধারণা যে, সম্ভবত এখনও যারা দুই বছর জায়গায় চুক্তি করেছে তাদের যেহেতু আমাদের এখান থেকে সেবা নিতে অসুবিধা নেই, তাই তারা সমস্যায় পড়ছে না।
এছাড়া চুক্তি বাতিল করলেও তো তাদের কাছে এনআইডি সার্ভারের তথ্য থাকছে, এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, আমাদের যে সিস্টেমটা কাজ করে, এখানে অনেক ধরণের তথ্য আছে। ভোটার তালিকায় বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। আর ওদের সব তথ্য প্রয়োজন হয় না। কাউকে তিনটা, কাউকে চারটা এভাবে তথ্য দেওয়া হয়। এর সাথে যে ধরনের চুক্তি আছে, আমরা সে রকম তথ্য দিয়ে থাকি। বিসিসিকেও চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তারা তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে পেরেছেন কি না সেটা আমরা নিশ্চিত নই।
আরও পড়ুন: কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা
কোটি মানুষের তথ্য তারা নিয়েছেন, এ ঘটনায় আপনারা কোনো প্রকার মামলা করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বকেয়া আছে দুই কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৭ টাকা। সেটা কোষাগারে দেওয়ার কথা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিতে বলেছিলাম চিঠিতে। নয় কোটির বিষয়টি আমার জানা নেই। ইসির কাছেও এই তথ্যটার সত্যতা নেই। বিসিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ইসিও সরকারি প্রতিষ্ঠান। যেহেতু চুক্তি বাতিল ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, তার মানে ইনটেনশনটা বুঝতে পারছেন। তারা তথ্যভাণ্ডার করে থাকলে নির্বাচন কমিশনের নিশ্চয় যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেটাই নেওয়া হবে বলে আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি তিন মাস পরে আশা করি আর কোনো ধরণের ভোগান্তি থাকবে না। আপনারা আমাদের সজাগ রাখবেন, আমরাও সজাগ থাকবো।
এমএল/