ইশরাকের প্রিজনভ্যানে হামলা, আটক ৫


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ইশরাকের প্রিজনভ্যানে হামলা, আটক  ৫

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়েছে তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে কোতয়ালী থানার পুলিশ।

বুধবার (৬ এপ্রিল) ইশরাককে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে ইশরাককে প্রিজনভ্যানে বের করা হয়। কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার পথে সিএমএম আদালত সংলগ্ন রায় সাহেব বাজার মোড়ে তার প্রিজনভ্যানে হামলা করে ইশরাক সমর্থকরা। 

এ সময় সংঘর্ষে পুলিশসসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। 

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য জানান। 

এর আগে বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর দুইটা ২০ মিনিটের দিকে তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তার আগে, বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণ করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরআগে, ইশরাককে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আত্মসমর্পণ না করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। গত ২৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

২০২০ সালের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকার-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আসামিরা একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যান।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান ভুঁইয়া।

ওআ/