রাবির আবাসিক হলে পোড়াল আল- কোরআন, বিজেপির প্রতীক অঙ্কন


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫


রাবির আবাসিক হলে পোড়াল আল- কোরআন, বিজেপির প্রতীক অঙ্কন
ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৪টি আবাসিক হলে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পুড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি হলের দেয়ালে ভারতীয় জনতা পার্টির( বিজেপি) প্রতীক অংকন করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক


রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এঘটনা ঘটে। সরেজমিনে জানা যায়, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদের ইমাম ফজরের নামাজের সময় এসে দেখে দুটি কোরআন শরিফের ভিতরের কয়েকটি পাতা পুড়ানো হয়েছে৷ পাশাপাশি সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে, শহীদ হবিবুর রহমান ও মতিহার হলের মসজিদে একটি করে কোরআন পুড়ানো হয়েছে। 


অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফিরোজ বলেন, এখানে আমরা দেখি কুরআনের প্রথম দুই তিন পারার মতো পুরানো হয়েছে। একইসাথে জিয়া হলে দুইটা কুরআন পুরানো হয়েছে সেটারও প্রথম দুই তিন পারা হবে। আমরা মনে হয় এটি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে। এটি উস্কানি মূলক ঘটনা হতে পারে। অন্য কোন একটা দল আমাদের মাঝে দাঙ্গা বাঁধানো বা ফ্যাসাদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। তারা চাচ্ছে যে একটা অশান্তি বা অরাজকতা তৈরি হোক। আমি চাই যে তদন্ত সাপেক্ষে এটার সাথে যেই জড়িত তার উদঘাটন হোক এবং তাদের যথাযথভাবে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক । 


জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সকালেই হল সুপার আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানোর পর হলে গিয়ে দেখি কোরআন শরীর পুড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা করেছে তা জানা যায়নি। এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। একটি মহল সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। 


আমির আলী হলের প্রাধ্যক্ষ হারুন উর রশীদ বলেন, সকালে হল সুপার হটাৎ ফোন করে বলে শিক্ষার্থীরা কোরআন পুড়ানো দেখতে পেয়েছে। খবর পেয়ে আমি এসে দেখি একটি কোরআন পুড়ানো হয়েছে। ধর্মীয় গ্রন্থ নিয়ে কেউ এমন উপহাস করবে, ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করবে তা সহ্য করা হবেনা। ধর্মকে কেন্দ্র করে একটা মহল উসকিয়ে দিতে যাচ্ছে, তাদের দৃঢ়হাতে থামিয়ে দিতে হবে। এর চুড়ান্ত বিচারের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়েছে এবং উপাচার্যও জরুরি মিটিং ডেকেছে। 


আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে রাবিতে নবান্ন উৎসব


উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত জঘন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং তা নিয়ে জরুরি মিটিং ডেকেছি। শিক্ষার্থীদের বলবো এটি একটি জঘন্যতম উস্কানি, তারা যেন এই উস্কানিদাতাদের ফাদে পা না দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো একইসাথে যারাই এ জঘন্যতম কাজের সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। তাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দরকার নাই। 


এসডি/