গাকৃবিতে বাঁধনের বার্ষিক সভা ও নেতৃত্ব হস্তান্তর

‘একের রক্ত, অন্যের জীবন—রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ স্লোগানে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাঁধনের কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি মো. শামীম গাজী।

আরও পড়ুন: গাকৃবিতে জলবায়ু সহনশীল সয়াবিন নিয়ে রিভিউ কর্মশালা

প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দিন, গাকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ময়নুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ।

প্রথম পর্বে বাঁধনের বিভিন্ন জোনের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও মূল্যায়ন করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় ‘ন্যাশনাল ব্লাড অলিম্পিয়াড’-এর চূড়ান্ত পর্ব। বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার ও শুভেচ্ছা স্মারক।

দ্বিতীয় পর্বে অতিথিদের বক্তব্য, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা এবং নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস.এম কামরুজ্জামান কাফি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আহমেদ রেজা জুনায়েদ।

বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, বাঁধন শুধু রক্তদানের সংগঠন নয়, এটি মানবিক মূল্যবোধে গড়া এক বৃহৎ আন্দোলন। এ সংগঠন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়েও কাজ করছে। তিনি বাঁধনকে দুর্নীতিবিরোধী ও পরিবেশবান্ধব কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

গাকৃবির উপাচার্য বলেন, বাঁধন সমাজ বদলের হাতিয়ার। এ সংগঠন মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করছে, যা দেশপ্রেমেরই অংশ। তিনি ২৪ জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করে তাদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

আরও পড়ুন: গাকৃবিসহ কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল

অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী এ আয়োজনের পর্দা নামে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঁধন প্রায় ১১ লাখ ২০ হাজার ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ করেছে। বর্তমানে সংগঠনটি দেশের ৯২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৬টি জোন, ১৪৮টি ইউনিট ও ১৪টি পরিবারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

এসডি/