প্রকৃত তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সংবাদ করুন: শফিকুল আলম
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৪
ধারণা থেকে নয় প্রকৃত তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গত কয়েকদিন দেখেছি বেশ কিছু সংবাদপত্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ করেছে। অনেক সময় পারসেপশনের ওপর অনেকে রিপোর্ট করে ফেলেন। আশপাশে তিনজন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে, এটা থেকে হয়ত পারসেপশন হয় যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কলম বিরতি
শফিকুল আলম বলেন, ‘অনেক সময় পারসেপশনের (ধারণা) ওপর অনেকে রিপোর্ট করে ফেলেন। আশপাশে তিনজন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে, এটা থেকে হয়ত পারসেপশন হয় যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। যেটা প্রকৃত ঘটছে, সেটা আপনারা লেখেন। আমরা তথ্যের ক্ষেত্রে আরও ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) চাই।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশকে আমরা বলে দিয়েছি যে, তারা যেন অপরাধের তথ্য সবসময় নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে। এতে পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটা ট্রান্সপারেন্সির সম্পর্ক তৈরি হবে। কী হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে, কী মামলা হচ্ছে, কোনো ধরনের অপরাধ বাড়ছে তা দেখলে জনগণের প্রকৃত ধারণা তৈরি হবে।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, “আমরা গত কয়েকদিন দেখেছি যে বেশ কিছু সংবাদপত্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ করেছে। এর মধ্যে একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘বেড়েছে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’ প্রতিবেদনটি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা দেখেছি যে এই প্রতিবেদনে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যদি পুলিশকে ভালোমতো জিজ্ঞাসা করা হতো, তারা একটা ভালো চিত্র তুলে ধরতে পারতেন। অনেক ক্ষেত্রে অনেকে আনভেরিফায়েড ডেটা দিয়ে দেয়।”
শফিকুল আলম বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে যারা ক্রাইম বিট করেন, তারা জানেন যে বাংলাদেশে হত্যার হার প্রতি মাসে ২০০-৩০০ এর বেশি হয় না। এটা এর মধ্যেই থাকে, যদি না ব্রুটাল সরকার জনগণের প্রতি হত্যাযজ্ঞ না চালায়।’
এ সময় পুলিশের তৈরি গত কয়েকমাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এমএল/