উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৯ অপরাহ্ন, ১লা জানুয়ারী ২০২৫


উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার
ফাইল ছবি

উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষে সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এর জন্য অর্থ প্রয়োজনে সরকার দেবে।


বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


আরও পড়ুন: ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। মানুষের কাজই হলো নিজের মন মতো কাজ করা। বাণিজ্য মেলা মানুষকে নিজের উদ্যোগকে ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার সুযোগ দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।


নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের রফতানিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতেও নজর দিতে হবে। 

 

তিনি আরও বলেন, রফতানি প্রসার ও প্রণোদনামূলক কর্মকাণ্ডতে বেগবান করতে প্রতিবছর একটি পণ্যকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার বা বর্ষপণ্য ঘোষণা করা হয়। এ বছর বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হলো ফার্নিচারকে।


তবে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ারে পাশাপাশি এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ারকে পরিচিত করার তাগিদ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পণ্যের পাশাপাশি উদ্যেক্তাদেরও পরিচিত করে তুলতে হবে।

 

এবারের বাণিজ্য মেলায় ৮ টি দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নিচ্ছেন। এ মেলার টিকিটের মূল্য (জনপ্রতি) ৫০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্ক) ও শিশুদের (১২ বছরের নিচে) ক্ষেত্রে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীরা তাদের কার্ড প্রদর্শন করে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবে।


বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ভারত, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া নিয়ে মোট ৭টি দেশ  বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে। 


মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

 

প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ও প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবারের মেলায়।প্রথমবারের মতো ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ বছর থাকছে বিআরটিসির বাস। এবারো বাণিজ্য মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। পাশাপাশি বিশেষ ছাড়ে থাকছে উবার সার্ভিসও।


আরওও পড়ুন: বাণিজ্যমেলার মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে: ড. ইউনূস


উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। ২০২১ সালে  করোনা মহামারির কারণে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।


এসডি/