কনকনে ঠান্ডায় নাকাল চুয়াডাঙ্গা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৫ অপরাহ্ন, ৩রা জানুয়ারী ২০২৫


কনকনে ঠান্ডায় নাকাল চুয়াডাঙ্গা
ফাইল ছবি।

বছরের শুরুতে কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে এই জেলা। একদিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। শীতের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কর্মজীবী মানুষের ওপর। 


শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও পড়ুন: কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার একই সময়ে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


চুয়াডাঙ্গা সরদারপাড়ার বাসিন্দা ও মৎস্য শ্রমিক আশিক সরদার বলেন, কয়েকদিন ধরে যেভাবে শীত পড়ছে, ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছি না। পেটের দায়ে পুকুরে নামতে হচ্ছে।


ভ্যানচালক টোকেন আলী বলেন, শীতের মধ্যে ঘর থেকে বাইরে বের হতে মন চায় না। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই বাইরে বের হতে হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে লোকজন নেই। যাত্রী পাচ্ছি না।


এদিকে শীতের কারণে কয়েক দিন ধরেই জেলার হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে বেশি।


সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে দুই ধরনের শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগ ও রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শিশু রোগীর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। আন্তঃবিভাগে শিশু ওয়ার্ডে গড়ে ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ৫০-৬০ জন করে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


অন্যদিকে গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আলু ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।


আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, হতে পারে বৃষ্টি


অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ধানের বীজতলা বিকেলে সেচ দিয়ে পরের দিন সকালে পানি বের করে দিতে হবে। এছাড়া সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে রাতে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা চাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলু ক্ষেতে আগামধসা ও নাবিধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সে জন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে।


আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে জেলার ওপর দিয়ে আবারও শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে পারে।


আরএক্স/