রোগ থেকে মুক্তির জন্য হযরত আইয়ুব আ. যে দোয়া করতেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৩ অপরাহ্ন, ৯ই জানুয়ারী ২০২৫
হজরত আইয়ুব আ. তৎকালীন সময়ের সম্ভ্রান্ত, ধনী ও সম্পদশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন। গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণী, দাস-দাসী, বিস্তৃর্ণ এলাকার জমির মালিকানা তার হস্তগত ছিল। ধনাঢ্য নবী হযরত আইয়ুব আ.-এর অনেক সন্তান-সন্তুতি ছিল।
আরও পড়ুন: টানা ১০ বছর রাসূল (সা.) এর খেদমত করেছেন যে সাহাবি
মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সন্তান-সন্তুতি, ধন-সম্পদ সমস্ত কিছু ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে পরীক্ষায় ফেলেন। তিনি একটি শারীরিক রোগে আক্রান্ত হন।
এই রোগের সময় তাঁর শরীরের ওপরে বিভিন্ন ধরণের কীট-পতঙ্গ চলাফেরা করতো। এ রোগের কারণে তার শরীর থেকে মাংস খসে খসে পড়ে এমনকি তাঁর শরীরে হাড় ও শিরা ছাড়া কিছুই ছিল না। তাঁর স্ত্রী তার শরীরের নিচে ছাই বিছিয়ে রাখতেন।
তার পুরো শরীর আক্রান্ত হওয়ার পর শুধু জিহ্বা ও হৃৎপিণ্ড অক্ষত ছিল। এর মাধ্যও তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার জিকির করতেন। এমন কঠিন পরিস্থিতেও মহান আল্লাহর তায়ালার প্রশংসা করতেন।
রোগ দিন দিন বাড়তে থাকলে তিনি মহান আল্লাহর তায়ালার কাছে দোয়া করতে থাকেন। তিনি মহান আল্লাহর তায়ালার কাছে যে দোয়াটি করেছিলেন তাহলো-
اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ
উচ্চারণ: ‘আন্নী মাসসানিয়াদ দুররু ওয়াআনতা আরহামার রা-হিমীন।’ অর্থ: ‘আমি তো দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৩)
এ দোয়া অত্যন্ত নমনীয় ও মার্জিত, যথাযথ আদব ও শিষ্টাচারপূর্ণ। নেই কোনো অভিযোগ, নেই অনুযোগ। ‘কষ্ট আমাকে স্পর্শ করেছে’—কঠিন বিপদেও আল্লাহ তায়ালার কাছে মধুময় আবেদন। তার আবেদনের ভেতর ভাব আছে, মর্মস্পর্শী আবেগ আছে, আছে তার কষ্টের কথাও। তারপড়ও কোনো আবদার নেই, নেই কোনো চাওয়া-পাওয়া। শুধু এ কথা বলে থেমে যাচ্ছেন ‘আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
আরও পড়ুন: সন্তান চেয়ে হযরত জাকারিয়া (আ.) যে দোয়া করেছিলে
মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন। তাঁর দোয়া কবুল করে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম। আর তার যত দুঃখ-কষ্ট ছিল তা দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজন তাকে দিয়ে দিলাম। তাদের সঙ্গে তাদের মতো আরো দিলাম আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৪)
এসডি/