ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ শুরু


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ শুরু

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম রাউন্ডের নিরাপত্তা সংলাপ ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সংলাপে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বনি জেনকিন্স তার দেশের নেতৃত্ব দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ সংলাপে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, উন্নত সমরাস্ত্র কেনার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি জিসোমিয়া এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে (আইপিএস) বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পেয়েছে। ঢাকায় গত মাসে অনুষ্ঠিত অংশীদারত্ব সংলাপেও এসব বিষয় গুরুত্ব পেয়েছিল।

গত ২০ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপ শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড সাংবাদিকদের জানান, প্রতিরক্ষা খাতে জিসোমিয়া ও আকসায় ঢাকার সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী তার দেশ। সেই লক্ষ্যে ঢাকাকে এ চুক্তিগুলো করতে একটি খসড়া কপি দেওয়া হয়। এছাড়া মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জানান, আইপিএসে বাংলাদেশ যুক্ত হলে ওয়াশিংটন খুশি হবে।

ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে গত শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের জানান, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। আমরা তো অস্ত্রের ভাণ্ডার সৃষ্টি করতে চাই না। কারণ, আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা খুব শান্তিপ্রিয় দেশ। সব প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক। অস্ত্র সংগ্রহ করলেই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব আসে। আমরা ওগুলোতে নেই। তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) অন্যান্য প্রযুক্তি আছে, সেটা আমাদের দাও। অস্ত্র আমাদের খুব কম প্রয়োজন।

কারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ কিছু করে না— উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাপের মধ্যে কিছু করবো না। চাপের মুখে আমরা কিছু করবো না। আমরা আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য যা যা প্রয়োজন সেগুলো করবো।

ওই দিন ইন্দো-প্যাসিফিক প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের রিকুয়েস্ট করেনি। এটা একটা দর্শন। এ দর্শনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মোটামুটি এক। তারা যেটা বোঝাতে চায়, অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল। আমরাও সেটা চাই। কোনো রাষ্ট্র এটাকে বাধাগ্রস্ত করুক তারা এটা চায় না, আমরাও চাই না। এ ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি এক।

ওআ/