আ.লীগ নেতা এখন জামায়াত ইসলামীর সভাপতি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:১৮ অপরাহ্ন, ১৭ই জানুয়ারী ২০২৫


আ.লীগ নেতা এখন জামায়াত ইসলামীর সভাপতি
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আবু হানিফ নামের এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওই ওয়ার্ডের জামায়াত ইসলামীর সভাপতি হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


জানা যায়, আগামীকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা থাকায় বিষয়টি জনসাধারনের সামনে প্রকাশ্যে আসে। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন আবু হানিফ নিজেও।


আরও পড়ুন: নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার চায় জামায়াত আমীর


স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ বছর তিতাস উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর কোনো ওয়ার্ড কমিটি ছিল না। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জামায়াত উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোতে নতুন কমিটি গঠন করা শুরু করে। আবু হানিফ তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তাকে জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হিসেবে কমিটি গঠন করা হয়।


আগে থেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে ইউপি সদস্য আবু হানিফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাহাবৃদ্ধি সাকুরা কিন্ডারগার্টেনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সভায় আগের ওয়ার্ড সেক্রেটারি উপস্থিত না থাকায় আমার নাম ঘোষণা করা হয়। আমি সে সময় মানা করেছিলাম। কিন্তু আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির নেতারা। পরে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছি। দলটির সাংগঠনিক নেতারা পলাতক থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। তবে সেটা শিগগিরই জমা দেব। এখন আমি জামায়াতে ইসলামী ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।’


আরও পড়ুন: কেউ যেন ইসলামিক দলের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে


তিতাস উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বিজ্ঞ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যৌক্তিক কারণেই আবু হানিফকে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি করা হয়েছে।’


কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইউপি সদস্য হওয়ার পর জোর করে তাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। মূলত তিনি আমাদের সক্রিয় একজন কর্মী ছিলেন।’


এমএল/