অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৩ অপরাহ্ন, ২০শে জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাইয়ের ঘোষণায় রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জ্যাকবসনকে অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐকমত্যের প্রত্যাশা করছেন।
জুলাই ঘোষণা পত্রের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনিনি।
এ ছাড়া এই বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক মহড়াকে ‘কঠিন’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। একইসঙ্গে প্রস্তাবিত ঘোষণার থিম ‘ঐক্য’ হবে বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও বলেন, আমাদের বিষয়বস্তুতে অনেক আইটেম বা কয়েকটি আইটেম থাকবে কি না, তা আমরা জানি না। আমাদের মতামতের বৈচিত্র্যের কারণে এটি একটি কঠিন কাজ। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একবার স্বাক্ষরিত হলে আমাদের রাজনীতি হবে জুলাইয়ের সনদের ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিছু সাংবাদিকের গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।
সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, এভাবেই সার্কের ধারণাটি এসেছে এবং আমরাই এর সূচনাকারী।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ মার্কিন তুলার একটি শীর্ষ আমদানিকারক এবং দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল আমদানি করার আহ্বান জানান। এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।
এমএল/