শবে মেরাজ: এ রাতে মুসলিমদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ উপহার দেওয়া হয়


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৫ অপরাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫


শবে মেরাজ: এ রাতে মুসলিমদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ উপহার দেওয়া হয়
ছবি: সংগৃহীত

আজ পবিত্র শবে মেরাজ। ইসলাম ধর্মে শবে মেরাজের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতটি মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ফারসিতে শব শব্দের অর্থ রাত এবং আরবিতে মেরাজের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত রাতটি ইবাদত করে থাকেন। কারণ এই মেরাজের মধ্য দিয়েই নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এই রাতে তারা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগি পালন করবেন।


দয়াল নবী রাসূলে পাক (সা.)-এর অলৌকিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন হয়। এ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে ফিরে আসেন।


আরও পড়ুন: আটরশির বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে উরস শরীফ শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি


নবুয়ত লাভের ১১তম বছর (৬২১ খ্রিষ্টাব্দ) দয়াল নবী রাসূলে পাক (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ সময় তিঁনি তার কঠিন সময়ের দুইজন প্রিয় ব্যক্তি স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালেবকে হারিয়েছেন। এছাড়া, ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকেও আশাহত হয়ে ফিরে আসেন।


এরপর মহান আল্লাহর ইশারা ও মেরাজের মাধ্যমে প্রিয় রাসূলে পাক (সা.)’কে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। সেদিন রাতে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামের বিশেষ বাহনে করে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান মহানবী (সা.)। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তার সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)। এরপর দয়াল নবী রাসূলে পাক (সা.) জান্নাত, জাহান্নাম ও আরশসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন। ফেরার সময় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তিঁনি নিজ উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার হিসেবে নিয়ে আসেন। পবিত্র কুরআন মাজীদে ও হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।


এমএল/