দেশে একমাত্র জাম্বুকুল চাষ করেই সফল আজাদুর রহমান


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৫


দেশে একমাত্র জাম্বুকুল চাষ করেই সফল আজাদুর রহমান
ছবি: প্রতিনিধি

প্রায় ১৫ বছর আগে প্রথমে ঈগল নার্সারী ও ফ্লাওয়ার গার্ডেন করেন যার খ্যাতী ছড়িয়ে পড়ে জেলা থেকে বিভাগ জুড়ে। এখন নার্সারীর পাশাপাশি বরই চাষ করে আলোচনায় এলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের আজাদুর রহমান। তার বাগানে জাম্বুকুল পাওয়া যায় যা দেশের অন্য কোথাও নেই। এই বরই পাতার চেয়ে বেশি ধরেছে। বাগান থেকে বরই নিতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। 


আজাদের বরই বাগানে জাম্বুকুল, বাউকুল ও ঢাকা ৯০ কুল রয়েছে। এসব কুল এলাকার চাহিদা পূরণের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে। এ বাগানে বরইয়ের পাশাপাশি, চায়না কমলা, মাল্টা, পেপেসহ বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। এছাড়া ফ্লাওয়ার গার্ডেনে রয়েছে। 


আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ব্লাড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ


সরেজমিনে আজাদের ঈগল নার্সারী ও ফ্লাওয়ার গার্ডেন দেখা যায়, ৭ একর জায়গায় নার্সারীর পাশাপাশি বরই বাগান করেছেন। বাগানের প্রতিটি গাছ বরইয়ের ভারে নুইয়ে পড়েছে। পাখি থেকে বরই রক্ষার জন্য সারা বাগান নেট দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। বিশেষ করে জাম্বুকুল ও ঢাকা ৯০ কুল সবচেয়ে বেশি ধরেছে। একেকটি গাছে সর্বনিম্ন ৫০ কেজি থেকে সর্বচ্চো ১০০ কেজি বরই উৎপাদন হয়। বাগান পরিচর্যার জন্য ৮ থেকে ১০ জন কাজের লোক রয়েছেন।


আজাদুর রহমান সফলতার গল্পে বলেন, প্রায় এক দশক আগে আমরা বরই চাষ শুরু করি। আমার এখানে ৭ একর জায়গায় প্রায় ১ হাজর ৫০০ বরই গাছ এসেছে। আমার বাগানে জাম্বুকুল, বাউকুল ও ঢাকা ৯০ এই তিন ধরনের বরই আছে। এর মধ্যে জাম্বুকুল এই বাগার ছাড়া দেশে আর কোথাও পাওয়া যায়না। বরই চাষ করতে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাগান থেকে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি করা যাবে। 


তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পুরাতন গাছে সর্বনিম্ন ৫০ কেজি আর সর্বোচ্ছ ৮০ থেকে ১০০ কেজি বরই ধরে। একদম নতুন গাছে ৫- ৬ কেজি বরই ধরে। আমরা সিজনের প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি কেজি বরই ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি। এখান থেকে আমাদের বরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। এই বরই যত পোক্ত হবে ততই মিষ্টি হয়। বরইয়ের পাশাপাশি আমার নার্সারী ও ফ্লাওয়ার গার্ডেন দেখতে অনেকেই আসেন।  


আরও পড়ুন: আখাউড়ায় উদঘাটন হলো সেই নারীকে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য


আজাদুর রহমানের বাগানে বরই কিনতে এসে ইমন আহমেদ তরফদার বলেন, শমশেরনগর বিমানবন্দরের পাশে আজাদের বরই বাগান থেকে প্রতি বছর আমরা বরই নেই। এই বরই গুলো অনেক ভালো। তার বাগানে পাতা থেকে বরই বেশি ধরে। বরই বাগানটা দেখতেও অনেক সুন্দর। 


কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, আজাদ একজন সফল কৃষক ও ব্যবসায়ী। বরইয়ের পাশাপাশি তার নার্সারী ও ফ্লাওয়ার গার্ডেন অনেক জনপ্রিয়। এই উপজেলার মাটির গুণাবলি ভালো থাকায় বরইর ফলন ভালো হয়েছে। শুধু বরইনয় আবহাওয়া উপযোগী হলে যেকোনো ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া যাবে। আজাদকে দেখে অনেকেই বরই বাগান করতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন।


আরএক্স/