বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে আলোচনা হয়েছে: আইনমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে আলোচনা হয়েছে: আইনমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে আমি ওনাকে পরিষ্কার বলেছি, একটা দাবি আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের হত্যাকারী এবং আদালতের সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি রাশেদ চৌধুরী সেখানে (যুক্তরাষ্ট্র) পালিয়ে আছে। তাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে।’

নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ দাবি করেন আইনমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি যেটা বলেছেন, সেটা হচ্ছে, এটা তো একটা বার্নিং ইস্যু, এ ইস্যুগুলো ত্বড়িৎ ফয়সালা করা উচিত। এ বিষয়টিতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ছায়া পড়ুক সেটা তিনি (রাষ্ট্রদূত) চান না। সেটা নিয়ে কিছু মডালিটির আলাপ হয়েছে। যেগুলো আমি এখন বলবো না। সেই মডালিটি অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাবো, সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এটাই প্রথম সাক্ষাৎ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা কিছুটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। অ্যাপয়েন্টমেন্ট চিঠিতে দুটো টপিক উল্লেখ ছিল। ওনারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনায় আমি ওনাকে বলেছি, এ অ্যাক্ট সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য করা হয়েছে। আমি ওনাকে এটা বলেছি, অনেক দেশের সংবিধানের তুলনায় আমাদের সংবিধান আলাদা। আমাদের সংবিধানে ফ্রিডম অব প্রেসকে আলাদাভাবে গ্যারান্টি করা হয়েছে ফান্ডামেন্টাল রাইটসের মাধ্যমে।’

‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কখনোই বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি এর কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এ বিষয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটাও উল্লেখ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে জতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনারের অফিসের সঙ্গে বেস্ট প্র্যাকটিসের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরামর্শক এসেছিলেন তার সঙ্গে যে আলাপ করেছি, সেগুলো উল্লেখ করেছি। এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাকে বললেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করতে চায়। আমি বলেছি, এটা অবশ্যই বিবেচনাধীন থাকবে।’

প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীদের যদি এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করা যায়, তাহলে সেটা ভালো হবে। তারা যে জজ ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছেন, সেটাও আমি উল্লেখ করেছি। সেখানে যে বিষয়টি ওঠে এসেছে তা হচ্ছে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালের কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অত্যন্ত সন্তুষ্ট, সেটা তিনি বলেছেন।’

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখবেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেবেন তারা।’

‘আরেকটা বিষয় আলোচনার মধ্যে ছিল তা হলো, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের দায়ের করা একটি মামলা, যেটা আদালতে বিচারাধীন। সেই বিষয়ে বলেছি, আদালত স্বাধীন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। এ মামলায় প্রসিকিউশনের দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করে সেটা আমরা দেখবো।’

ওআ/