রমজানে লোডশেডিং মুক্ত রাখার পরিকল্পনা: ফাওজুল কবির


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:১৯ অপরাহ্ন, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫


রমজানে লোডশেডিং মুক্ত রাখার পরিকল্পনা: ফাওজুল কবির
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মাহে রমাজনের সময় লোডশেডিং মুক্ত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে কিছুটা সময় লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান।


বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন রমজান ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা জানান তিনি।


বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, মাহে রমজান কে লোডশেডিং মুক্ত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লোডশেডিং বিভিন্ন কারণে হয়, টেকনিক্যাল কারণ ছাড়া লোডশেডিং যাতে না হয় সে জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: বিসিএসে ‘ক্যাডার’ বাদ দিয়ে ৩ পিএসসি গঠনের সুপারিশ


তিনি বলেন, রমজান মাসে সারাদেশে লোডশেডিং মুক্ত রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। রোজার মাসে বিদ্যুতের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি থেকে ১২০০ পর্যন্ত  উন্নীত করা হচ্ছে। তবে, সেচের চাহিদার কারণে গ্রীষ্মকালীন সময়ে ৭০০ থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হতে পারে।


তিনি আরও বলেন,  গ্রীষ্মকালেও লোডশেডিং কমিয়ে আনার জন্য সরকার কাজ করছে। গ্রীষ্মকালে ১৮০০ মেগাওয়াট চাহিদা ধরে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ব্যয় সংকোচন করে চলছে অন্তর্র্বতী সরকার। এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।


আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কার্যকর করার প্রস্তাব এসেছে : প্রেস সচিব


উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক জ্বালানি সমস্যার কারণে লোডশেডিং করতে হয়। প্রথম মিটিং করেছি অর্থের সংস্থানের জন্য, রোজা এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। রোজার মাসে যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন হবে, তারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদনে এখন ৯০০ মিলিয়ন গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। রোজার মাসের জন্য ১২০০ মিলিয়ন সরবরাহ এবং এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১০০ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে যাবে। রোজায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে চাহিদা থাকবে। আমরা পুরোপুরি সরবরাহের প্রস্তুতি নিয়েছি।


তিনি বলেন, গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুতে চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। এরমধ্যে কুলিং (এসি) লোড রয়েছে ৬ হাজার মেগাওয়াট। বিভিন্ন কারণে ৭০০-১৪০০ লোডশেডিং করতে হতে পারে। আমরা যদি এসির তাপমাত্রা ২৫ অথবা ২৬ ডিগ্রিতে রাখতে পারি তাহলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা কমে যাবে। তাহলে লোডশেডিংয়ের প্রয়োজন হবে না।


এমএল/