টিপ পরায় শিক্ষিকা হেনস্তা: অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পাওয়া গেছে মর্মে তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। অভিযুক্ত প্রটেকশন বিভাগের কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। তাকে শোকজ করা হবে। এজন্য যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন তাই করা হবে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেক এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেননি। টিপ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি বলে তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করেন। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিয়েছে শিক্ষিকার সঙ্গে উচ্চবাচ্য হয়েছে। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে আপত্তিকর কোনও কিছু বলে থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত হলো, রিপোর্ট পাওয়া গেল এখন পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন বলে দাবি করেন লতা সমাদ্দার।
তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে লম্বা দাড়িওয়ালা এক যুবক ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই গালিগালাজ শুরু করেন। ওই যুবকের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল। পরে লতা সমাদ্দার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর ৪ এপ্রিল নাজমুল তারেককে শনাক্ত করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ওই কনস্টেবলকে।
ওআ/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী ঢাকা: প্রেস সচিব

আ. লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে বলল ইসি

জুলাই শহীদদের প্রেরণায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব: উপদেষ্টা মাহফুজ

মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে বললেন ড. ইউনূস
