গণতন্ত্রের সুষ্ঠু উত্তরণে বান কি মুনের সহযোগিতা-পরামর্শ চেয়েছেন ড. ইউনূস
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৭শে মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে সহজে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই; আমরা আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই। আমরা এখন দুর্দান্ত একটি সুযোগ পেয়েছি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ ) চীনের হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনের ফাঁকে বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত একজন তরুণ কূটনীতিক হিসেবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য আমার কলম ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে ড. ইউনূসকে মোদির চিঠি
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি মুনের সমর্থন ও পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই, আমাদের আপনার সমর্থন ও পরামর্শ প্রয়োজন। আমাদের এখন একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।
এ সময় বান কি মুন বাংলাদেশকে ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং কোরিয়ার অন্যতম সম্মানিত ব্যবসায়ী নেতা কি হাক সুং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন- বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একসময় কোরিয়া এবং বাংলাদেশ একই লাইনে ছিল, কিন্তু এখন কোরিয়া অনেক এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ, কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব আমাদেরকে ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের অনারারি ফেলো হলেন প্রধান বিচারপতি
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী জমি সমস্যা সমাধান করেছে, আশা করা হচ্ছে যে এটি আরও কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বেশ করবে।
সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ জানান, কিহাক সুং ঢাকায় আসন্ন ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলনে কোরিয়া থেকে ২৬ সদস্যের একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বান কি মুনের সহায়তা কামনা করেন এবং উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান।
এমএল/