সাফারি পার্ক থেকে কিভাবে প্রাণী চুরি হচ্ছে, খুঁজে বের করতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৩২ অপরাহ্ন, ৯ই এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থার কারণে একের পর এক লেমুরের মতো অন্যান্য দুর্লভ প্রাণীর চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে বাংলাদেশের কাছে
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পার্কের কোর সাফারি, আফ্রিকান সাফারি, পাখিশালা, হাতিশালা ও চুরি যাওয়া আফ্রিকান প্রাণী রিংটেইল লেমুর বেষ্টনী ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এভাবে দুর্লভ প্রাণীগুলো কীভাবে চুরি হলো এটি খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি এখানে যারা দায়িত্বে আছেন ঘটনার আগে ও পরে তাদের ভূমিকা দেখতে হবে। একই ঘটনা যখন ঘটছে, তখন কেন এসব স্থান সিসিটিভির আওতায় আনা হয়নি, সিসি ক্যামেরা কেন কাজ করেনি? এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা করবেন তখন তো আর এসব হারিয়ে যাওয়া প্রাণী ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। এ ছাড়া আজ একটি বিষয় প্রমাণিত, একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র আছে যারা বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রোড হিসেবে ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাফারি পার্ক আর চিড়িয়াখানা এক নয়। সাফারি পার্কে দর্শনার্থীরা প্রাণীকে দেখবে। আর প্রাণীগুলোকে যতটুকু সম্ভব প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখা হয়। তবে এ পার্কে হাতিশালা, জাগুয়ার বেষ্টনী ও লেমুর বেষ্টনীগুলোতে উপযুক্ত পরিবেশ রাখা হয়নি বলে পরিদর্শন করে জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বিলুপ্ত যে সব বন্যপ্রাণী এখানে এনে আমরা রাখছি সেসব হারিয়ে যাচ্ছে। কেন এমন ঘটনা বারবার ঘটছে এটি খুঁজে বের করতে হবে। একই জায়গা থেকে যখন টিয়া পাখি, ময়না পাখি হারায় না, লেমুর হারিয়ে যায় তখন আপনাকে বুঝতে হবে এখানে একটি সমস্যা আছে। সে সমস্যাটি চিহ্নিত করতে হবে। আমার মনে হয় পার্ক ব্যবস্থাপনা আরও অনেক উন্নত করতে হবে। প্রাণীবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে। এখানে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবের পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতরে ৩১৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এসডি/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

সমুদ্র ও নাব্য জলপথের হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও চার্ট প্রণয়ন নিশ্চিত করা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বিশ্বব্যাংকের ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: নির্বাচন কমিশনার

নির্ভুল মানচিত্রায়নের মাধ্যমে টেকসই সমুদ্রনীতি গড়ে তুলতে হবে
