রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, মাদকসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সমন্বয় করে প্রয়োজনে সেনা অভিযান চালানো হবে।
রবিবার (১০ এপ্রিল) বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চতুর্থ সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলবো, তারা যেন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে। সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমরা দেখছি প্রতি বছর ৩৫ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। আমাদের ৫ বছর হয়ে গেছে, তাহলে দেড় লাখ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দারা যেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য ইউএনএইচসিআরের ডাটাবেজ ব্যবহার করা হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র্যাবের যৌথ টহল চলছে সেটা আরও জোরদার করা হবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে। যদি অভিযানের প্রয়োজন হয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে অবৈধভাবে স্থাপিত দোকান-পাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তা চলমান থাকবে। ক্যাম্পের চারপাশ দিয়ে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেটার প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের কাজও শেষের দিকে, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বয়সভিত্তিক না করে সবাইকে একই পরিমাণ রেশন দেওয়া হয়। আমরা বলেছি, রেশনটা যেন বয়সভিত্তিক দেয়। নাফ নদী দিয়ে মাদক চোরাচালান রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওআ/