আদালতের ক্যাশ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা উধাও


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১২ অপরাহ্ন, ৬ই মে ২০২৫


আদালতের ক্যাশ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা উধাও
ছবি: সংগৃহীত

ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ক্যাশ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা তসরুফ করেছেন নিম্নমান সহকারী সাবেক ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।


সাবেক প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের আর্শীবাদপুষ্ট মো. নাজিম উদ্দিনের একের পর এক অর্থ তসরূফের কারণে ভেঙে পড়েছে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল আদালত এর অর্থ ব্যবস্থাপনা।


ভোলার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে নতুন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া যোগদান করার পর অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির এ বিষয়টি সামনে আসে। তাৎক্ষণিক তিনি অডিট করে ২৭ লক্ষ টাকার ঘাটতি নিরূপণ করেন এবং সাবেক ক্যাশিয়ার মো. নাজিম উদ্দিন এবং দায়িত্বরত বর্তমান ক্যাশিয়ার মো. আব্দুল হাশেম কে উক্ত তসরুফ করা ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অফিসিয়াল এবং অফিসের বাইরেও টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চালান। মো. আবুল হাসেম ও সাবেক ক্যাশিয়ার মো. নাজিম উদ্দিনকে তিন মাসের সময় বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও অদ্যবধি ২১৭০৫০০ টাকা ফেরত দেননি নাজিম উদ্দিন।


আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত


তসরুফ করা ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার জন্য রবিবার (৪ মে) স্বাক্ষরিত ৯৬ (প্রশা) স্মারক নাম্বার মূলে মো. নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা সকল টাকা ফেরত চেয়েছেন। একই অনুলিপি সিনিয়র জেলা এবং দায়রা জজ ভোলা বরাবর ও প্রেরণ করেছেন। টাকা তসরূফের ঘটনা নাজিম উদ্দিনের নতুন না। তিনি এর আগে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানা যায় ।


নাজিম উদ্দিন ২০১৩ সালে  ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্যাশিয়ার পদে যোগাযোগ করেন। ২০২১ সালের শেষে দিকে আন্তঃজেলা বদলির কারণে একই আদালতের টাইপিস্ট / কপিস্ট মো. আবুল হাশেমের নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় ২০লক্ষ টাকা আদালতের ক্যাশ থেকে তসরুপ করে নিয়ে গেলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তৎকালীন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ মো. সানাউল হক। পরবর্তীতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ মো. সানাউল হক বদলি হাওয়ার পর আবারও ২০২২ সালের জুন মাসে নিম্নমান সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ফের ভোলার আদালতে যোগদান করেন।


আরও পড়ুন: আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো চিন্ময়কে


যোগদান পরবর্তীতে ইতিপূর্বে তসরূফ করা ২০ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করে পুনরায় ক্যাশের দায়িত্বপ্রাপ্ত টাইপিস্ট/কপিস্ট ক্যাশের দায়িত্বে থাকা মো. আবুল হাশেম নিকট হতে আবারো ৫৭০৫০০ টাকা নিয়ে যায়। 


এমএল/