নাটোরে আদালতের বিচারকাজে বাধা দেয়ায় আইনজীবীর দণ্ড

নাটোরে আদালতের মধ্যে হট্টগোল এবং বিচার কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আলেক শেখ নামে এক আইনজীবীকে ২০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নাটোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শানু আকন্দ। পরে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সেই দণ্ড স্থগিত করে আইনজীবী আলেক উদ্দিন শেখকে তিরস্কার করে এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেন।

ওই আদালতের অফিস সহায়ক বুলবুল আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শানু আকন্দের আদালতে মারামারি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানী চলাকালে আইনজীবী আলেক উদ্দিন শেখ বিচারককে শুনানি না করার জন্য চাপ দেন। 

এসময় আসামী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট আলেক উদ্দিন শেখ আদালতে হট্টগোল শুরু করেন এবং আদালতের কাজে বাধা প্রদান করায় আদালতে আসীন বিচারক আসামীকে আটক করে আদালতের হেফাজতে গ্রহণ করেন। অতঃপর আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২২৮ ধারার অপরাধ আমলে গ্রহণ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮০ ধারা অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ গঠন করেন। গঠিত অভিযোগ আসামীকে পড়ে শোনালে আসামী দোষ স্বীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পরবর্তীতে আদালতের কাজে বাধা প্রদান করার অপরাধে আসামীকে পেনাল কোডের ২২৮ ধারায় ২০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু আসামী স্বেচ্ছায় দোষস্বীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করায়, তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে কোনো ফৌজদারি মামলা না থাকায় এবং শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় আসামীকে সংশোধনের সুযোগ প্রদানের স্বার্থে The Probation of Offenders Ordinance, 1960 এর ৪ ধারা অনুযায়ী আসামীর অর্থদন্ডাদেশ স্থগিত করে আসামীকে তিরষ্কার করা হয়। একইসাথে আসামীকে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ না করার জন্য সতর্ক করে আদালতের হাজতখানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নাটোর আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শহীদ মাহমুদ মিঠু বলেন,আইনজীবী আলেখ উদ্দিন শেখ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান পরে বিকেলে তাকে মুক্তি প্রদান করে আদালত।

আরএক্স/