গবেষণা তরুণদের মেধাবিকাশ ও সৃজনশীলতার সুযোগ সৃষ্টি করে: জিরুনা ত্রিপুরা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, ১৪ই মে ২০২৫


গবেষণা তরুণদের মেধাবিকাশ ও সৃজনশীলতার সুযোগ সৃষ্টি করে: জিরুনা ত্রিপুরা
ছবি: প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হয়েছে।


"জ্ঞান বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবে বিশ্বময়" প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। তিনি ফিতা কেটে ও রঙিন বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।


বুধবার (১৪ মে) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এর সভাপতিত্বে এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক নাছির মোহাম্মদ গাজী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষগণ এবং জেলা পর্যায়ের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম।


উদ্বোধন শেষে অতিথিরা প্রকল্প প্রদর্শনী স্টল পরিদর্শন করেন। স্টলে প্রদর্শিত হয় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ সহ নানা ধরনের উদ্ভাবনী প্রকল্প, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা দিককে তুলে ধরে।


এই তিনদিন ব্যাপী (১৪-১৬ মে, ২০২৫) অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৯ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতা এবং প্রকল্প প্রদর্শনীর চূড়ান্ত বাছাই।


আগামী শুক্রবার (১৬ মে, ২০২৫) সকাল দশটায় আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নতুন আবিষ্কার তরুণদের মেধাবিকাশ গবেষণা ও সৃজনশীলতার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।


সময় অন্যান্য অতিথিরা তাদের বক্তৃতায় বলেন, "বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিশ্বে টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞানের প্রয়োজন আছে।" জেলার শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল প্রকল্প, গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে আমাদের সামনে নতুন নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করছে। 

 এই মেলা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আরও গভীর আগ্রহ তৈরি করবে এবং তাদের ভবিষ্যতকে আলোকিত করবে।  


আমাদের তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে বাংলাদেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও উন্নত হবে, বিশ্ব দরবারে নিজেদের জায়গা করে নেবে।


আরএক্স/