পাটগ্রাম সীমান্তে পুশইন করা সবাই বাংলাদেশী নাগরীক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ২২শে মে ২০২৫


পাটগ্রাম সীমান্তে পুশইন করা সবাই বাংলাদেশী নাগরীক
পুশইন করা সবাই বাংলাদেশী নাগরীক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশু সহ বেশ কিছু নাগরীককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এখন পর্যন্তন ২০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা সবাই বাংলাদেশী নাগরীক। কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়ে আটকের পর কারবাসে ছিলেন।


আরও পড়ুন: পাটগ্রাম দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা জোরপূর্বক বেড়া নির্মাণ, উত্তেজনা


অপর নির্ভর্যোগ্য সুত্রের দাবি, ধবলসুতি আন্তর্জাতীক সীমানা পিলার ৮২৬ এর সাব পিলার ৬ এস কাছে  ভারতীয় ৯৮ বিএসএফ গোমতি ক্যাম্প থেকে  ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে পুশইন করে। রহমতপুর গাটিয়ার ভিটা নামক স্থানে বিজিবির টহল দল ওই এগারো জনকে আটক করে। এরপর একই সীমান্তের  ঝালংগী  সীমান্ত পিলার ৮৪৬ সাব পিলার ৩ এর কাছে আরো ০৯ জন বাংলাদেশী নাগরিককে পুশইন করে। ঝালংগী সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছ থেকে  বিজিবির টহল তাদের আটক করে।


বিজিবি আটকে পর পাটগ্রাম থানা হেফাজতে হস্তান্তর করে।আটককৃতরা হলেন, সীমা খাতুন(২৮), স্বামী সজিব মিয়া (৩০), আখি(০৪) পিতাঃ মোঃ সজিব মিয়া, আফসানা খাতুন (২৫) স্বামী মোঃ খায়রুল ইসলাম ( ৩০), মোঃ হামজা ফাসাব (০৬) 

পিতাঃ মোঃ খায়রুল ইসলাম (৩০),চায়না খাতুন (২৩) স্বামীঃ মোঃ উজ্জ্বল শেখ (২৫),মরিয়ম খাতুন (০)পিতা মোঃ উজ্জল শেখ,তাইবা খাতুন (১০মাস) উজ্জল শেখ (২৫) এরা সবাই নড়াইল জেলার কালিয়া থানার  বুইবাগ গ্রামের নাগরীক।



এছাড়া,আফরি খাতুন (৩০) স্বামী মো. কামাল শেখ  বুলাবাজার থানা. তেরোখাদা জেলা. খুলনা। রুমা আক্তার (৩৫) স্বামী মো. জাহিদ হোসেন নড়াইর জেলার তেরোখাতা।নড়াইর জেলার দহতলা থানার রাফিজা খাতুন (৩৫) স্বামী মো. তোফাজ্জল হোসেন। নড়াইল সদরের রিপা খাতুন (৩০) স্বামী মো. হানিফ মোল্লা।যশোর জেলার শাহজাহান শেখ (৪০), পিতা. মো. মহসিন শেখ ও শহাজাহান শেখের মেয়ে  ফারহানা বেগম (৩০)।



নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার মুরাদ শেখ (২৪) পিতা  কামাল শেখ,রিতু বেগম (২০)স্বামী মো. মুরাদ শেখ,হাবিবা আক্তার (০৩) পিতা মো. মুরাদ শেখ,পান্না বেগম (৪৫) স্বামী মো. কামাল শেখ,কেয়া আক্তার (২২) স্বামী ফজলে করিম, লাবিবা খাতুন  (০২) পিতা, মোঃ ফজলে করিম, মোহাম্মদ হোসাইন (১১) পিতা কাইয়ুম আলী। 


ওই সুত্রের দাবি,পুশইনের পর আটক হওয়া ব্যক্তিরা দুই  থেকে তিন  বছর আগে  আগে যশোরের কলোরোয়া  সীমান্ত দিয়ে ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। এরা সবাই এক মাস থেকে মাস থেকে ভারতের গুজরাট কারাগারে আটক ছিলেন।


আরও পড়ুন: পাটগ্রামে ঘোড়ার হাল চাষে পরিবার চলে বৃদ্ধ মমিনের

বিষয়টি বিজিবির ধবলসুতী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল মতিন   নিশ্চিত করেছেন।


পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমানও সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,সবাই বাংলাদেশী নাগরীক হিসাবে নিজেদের দাবি করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ঠিকানায় আত্মীয় স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যনের সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড সহ নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই করে হস্তান্তর করা হবে।


এসডি/