সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৭ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৫


সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সাত অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বরসতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত, ৬ বিভাগে ভারী বর্ষণের শঙ্কা


এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


এদিকে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্থল গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তা টাঙ্গাইল ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার (৩০ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।


আরও পড়ুন: দেশের ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা, সতর্ক সংকেত


এতে বলা হয়েছিল, সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গভীর স্থল নিম্নচাপটি উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে পরিণত হয়েছে। সকাল ৯টায় টাঙ্গাইল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।


এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।


এমএল/