মৌলভীবাজারে কার্যকর উদ্যোগ নেই করোনার: মানছে না স্বাস্থ্যবিধি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, ৩০শে জুন ২০২৫


মৌলভীবাজারে কার্যকর উদ্যোগ নেই করোনার: মানছে না স্বাস্থ্যবিধি
ছবি: প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার জেলা ও উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।  তবে আগের মতো এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ নেই। জেলা শহরে তো এর বালাই-ই নেই। এমনকি হাসপাতাল ও সরকারী অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও মাস্ক ব্যবহার করছেন না 


এছাড়াও স্কুল, কলেজ , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল,যানবাহন, সরকারী অনুষ্ঠানগুলোতেও কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।


পাঁচ বছর আগে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাস ফের নতুন রূপে ফিরে আসছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে বাড়তি সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে।


সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ২০২০ সালের শুরু থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত করোনার দৌরাত্ম্যে মানুষ যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করেছিল। বর্তমানে তার কোনো বালাই নেই।


জেলা গুড়ে দেখা যায়,জনসমাগম যথা সম্ভব এড়িয়ে চলার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্দেশনায় প্রচার প্রচারনা করা হচ্ছে।


সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার যে চেকপোস্টগুলো আছে,কুলাউড়া ও জুড়ি সেখানে মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে তাদের স্ক্যানিং করছে। তাদের নির্দেশনা দেয়া  হয়েছে যে সবাই, ডাক্তার কর্মকর্তা, কর্মচারী যারা স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত তারা সবাই যাতে মাক্স পড়ে। প্রত্যেক হাসপাতলে আইসোলেশন বেড ১০ টা করে ব্যবস্থা  করে রাখা আছে।


যে কোনো রোগী ঐরকম সিমটম  নিয়ে আসলে বা যদি রোগ ধরা পড়ে তাহলে প্রথমে আইসোলেশনে বেড গুলোতে রেখে সেখানে অক্সিজেনের যথাযথ সরবরাহ করা যেতে পারে। সদর  হাসপাতালে হাই ফ্লুনেজেল ক্যানলা ৮ টা আছে। আই সি ইউ বেড রেডি করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক এর সাথে সমন্বয় করে আরও ২টা বেড বাড়ানো হবে। সদর হাসপাতালে আইসোলেশন বেড ১০টি আছে। আর আই সি ইউ বেডে কোভিড আক্রমণের ক্রিটিকাল রাখা হবে।


বোরহান উদ্দিন (রহঃ) ইসলামী সোসাইটি মৌলভীবাজার এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব জানান, এখানো দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে  করোনা মহামারী আবার ও দেখা দিচ্ছে। আমরা মনে করি যে আমাদের মানুষদের সচেতন হতে হবে। আমাদের যে পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেই পদক্ষেপগুলো আমাদের জেলাতে দেখতে পাচ্ছি না। আমাদের যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল আছে সেখানে আমরা যতটুকু জেনেছি এখনো কিড আসে নাই। কিন্তু অনেক হাসপাতালে তারা তাদের সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।



এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের মৌলভীবাজার জেলায় সম্ভাব্য কিছু সিনটম আছে এরকম কিছু রোগীকে আলাদা করেছি। বাড়িতে থাকতে বলেছি আর যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আসতেছে তাদেরকে আমরা আলাদা রাখেছি এবং সেভাবে চিকিৎসার চলছে। এখনও আমাদের রেপিডেনডিজেন টেস্টর জন্য যে কিড আছে সেগুলো এখনো আসে নাই তবে দুই-একদিনের ভিতরে চলে আসবে।


মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, মানুষ সচেতন হওয়ার জন্য আমরা ১০ দিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছি। টিভি ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখনো মাক্স বিতরন করিনি। তবে জুলাই মাসে মাক্স বিতরন করবো।



এসডি/