কমলগঞ্জে দেহ ব্যবসার গডফাদার আছমা ও আজিজ, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৫


কমলগঞ্জে দেহ ব্যবসার গডফাদার আছমা ও আজিজ, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!
ছবি: প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নং পতনউষার ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডে উসমানগড় এলাকায় আওয়ামী লীগের শাসন আমলে গড়ে তুলা হয়েছিল সরকারি জায়গায় অবৈধ দেহ ব্যবসা। সেই পতিতালয়ের গডফাদার আছমা বেগম এবং আজিজ মিয়া।


আরও পড়ুন: কমলগঞ্জে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক


দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এখানে চলছে এ অবৈধ কাজ। জেলাবাসীর কাছে এটা পতিতাবাড়ি হিসেবে পরিচিত। প্রকাশ্যে চলে অনৈতিক কাজ। চাহিদা অনুযায়ী পতিতাদের পাঠানো হয় বাসাবাড়িতে।


এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার উসমাননগরের শমসেরনগর-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সরকারের ৩ একর জায়গা দখল করে এক সময়ের দুর্র্ধষ ডাকাত সহোদর আজিদ ও বাজিদ গড়ে তুলেছে দেহ ব্যবসার কারখানা। পতিতাদের গডফাদার বাজিদের ভাষা অনুযায়ী এই বাড়িতে ঢাকা, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের পতিতাদের পাওয়া যায়। ডাকাতদের ভয়ে এলাকাবাসী এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও কিছু বলতে এবং প্রতিবাদ করতে পারছে না।


এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতদের ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না। তাদের অনৈতিক কাজের কারণে যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে। শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কিছু কর্মকর্তার আসা-যাওয়া রয়েছে এ বাড়িতে। মালিক আজিদকে প্রায় সময় রাতে পুলিশের গাড়িতে দেখা যায়।


এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় এই পতিতালয়ে হাত দেওয়ার কারো সাহস নাই ,কারণ এরা খুবই খারাপ এবং যেকোন মানুষের সম্মানহানি এবং প্রানের নাশের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। সেখানে একটা প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে।


আরও পড়ুন: কমলগঞ্জে হিমাগার সংকটে টমেটো চাষিদের ক্ষতি, ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল


এ বিষয়ে আজিজ মিয়া ও আছমা বেগমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

মাদকের বিষয়ে কাছ থেকে জানতে চাইলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে পতনউষার ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন অনেকদিন আগে সে জায়গায় একটি ঝামেলা হয়েছিল। একসময় পুলিশ এবং র‌্যাব অভিযান চালায় পাকড়ানোর জন্য। আপনি যে ধরনের ভাষায় বলছেন ওই ধরনের বিষয় আমার জানা নেই।। আবার চেয়ারম্যান তিনি স্বীকার করে বলেন অসামাজিক কার্যকলাপ আমার অগোচরে চলছে। আমার কাছে কেউ এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দেয়নি।


কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন,এলাকাবাসী আমাকে অবগতে করেছে,আমি খুব শিগগির ওদের বিরুদ্ধে একশনে যাব।


এসডি/