কমলগঞ্জে হিমাগার সংকটে টমেটো চাষিদের ক্ষতি, ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শস্যা ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। সবজি সংরক্ষণের জন্য কোন হিমাগার না থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। এতে করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে ফসল উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। কারণ সবজি তোলার সাথে সাথেই বাধ্য হয়ে ‘পানির দরে’ বিক্রি করতে হচ্ছে, না হলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে। বর্তমানে টমেটোর চাষের বাজারজাত করনের শেষ সময় চলছে।
আরও পড়ুন: কমলগঞ্জে দেবরের হাতে ভাবি খুন
বাজারে মূল্যও কমে গেছে। মজুরী ও পরিবহন খরচ না উঠায় চাষিরা ক্ষেত থেকে টমেটো তুলছেন না। ফলে ক্ষেতেই টমেটো নষ্ট হচ্ছে। অথচ আগামী মাসখানেক পরই টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলীনগর, আদমপুর, মাধবপুর, সদর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার তিলকপুর, জামিরকোনা, হোমেরজান, পাত্রখোলা, কাটাবিল, নাজাতকোনা, ধলাই পার, নরেন্দ্রপুর, আদমপুর ও ইসলামপুর, ছয়ছিড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদ হয়েছে। তবে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে কেউ কেউ বারো মাসও টমেটো চাষাবাদ করেন।
কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের সবজি চাষী সাইমুন বলেন, ‘স্থানীয় বেপারীরা কমলগঞ্জ থেকে স্বল্প দামে কৃষকের শস্য কিনে ট্রাকে করে দেশের অন্যান্য এলাকায় নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে না। কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ভাবে এখানে একটি হিমাগার স্থাপন করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ কথা রাখছেন না।
আরও পড়ুন: কমলগঞ্জে ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক
তিনি বলেন, বর্তমানে। ফসলের মাঠে অনেক ফসল রয়ে গেছে। তবে বাজারে দাম কমে গেছে। তাই টমেটো তোলার মজুরের মুজরী ও পরিবহন ব্যয় না উঠার কারনে মাঠেই কষ্টের ফসল পচে নষ্ট হচ্ছে। ভানুগাছ বাজারের আড়ৎদার মো. শরিফ উদ্দিন জানান, ‘গত একমাস ধরে আড়তে টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮-১০ টাকায়। গত সপ্তাহ থেকে বিক্রি করছি ৩-৪ টাকায়। বাজারে টমেটোর দাম এতটাই কমে গেছে যার কারনে কৃষক টমেটো তুলতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে যারা আগাম টমেটো চাষ করেছিলেন তারা লাভবান হলেও বাকিরা হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত।
এসডি/