মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয় মামলা, আত্মহত্যার তথ্য গুজব
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪২ অপরাহ্ন, ৩০শে জুন ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের বহুল আলোচিত ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরালকাণ্ডে ভুক্তভোগী নারী যৌন নিপীড়ন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত রবিবার (২৯ জুন) রাত ৮টার দিকে মুরাদনগর থানায় এই মামলা দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৫
এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে, ওই মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে বা ভুক্তভোগী আত্মহত্যা করেছেন, এমন গুজব ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ওসি।
ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামী প্রবাসে থাকে, বিষয়টি নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় আছি। আমার স্বামী চান না আমি এগোই। যদিও কোনো বাহ্যিক চাপ নেই, তবু আমি এবং আমার পরিবার আতঙ্কে আছি। মাঝে মাঝে ভাবি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, আবার মনে হয় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’
এদিকে, ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার অনুপস্থিতি নিয়ে সামাজিকভাবে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমি ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা পাঠিয়েছিলাম। সে নিজে মেডিক্যাল পরীক্ষা না করলে আমি কী করতে পারি?’
কুমিল্লা কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবীর আহমেদ ফয়সাল মুঠোফোনে বলেন, ‘ধর্ষণ মামলায় ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। মেডিক্যাল পরীক্ষা না হলে বিচার প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বাস ধর্মঘট
কুমিল্লার মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসা এক নারীকে রাত ১০টার দিকে একই গ্রামের ফজর আলী (৩৮) নামে এক ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পরবর্তীতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি করে।
ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম মামলা দায়ের করেন। ভিডিও ভাইরালের পরদিন পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এসডি/